প্রকাশ: শনিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:৫০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পৌষের কনকনে শীতের তীব্রতা বাড়ায় গরম কাপড় বিকিকিনির হিড়িক পড়েছে। স্থানীয় হাটবাজার মার্কেট ও বিভিন্ন ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতের গরম কাপড় কিনতে ভিড় জামাচ্ছেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। শ্রীনগর বাজার, ভাগ্যকুল-বালাশুর বাজার, আল-আমিন বাজারসহ বিভিন্ন মার্কেটের কাপড়ের দোকানে গরম পোষাক কেনাবেচার ধুম পড়েছে। শীতের হাত থেকে বাঁচতে ক্রেতারা পা মোজা, হাত মোজা, কানটুপি, জ্যাকেট, সোয়াটার, মোটা গেঞ্জি, কম্বলসহ অন্যান্য শীতের কাপড় সংগ্রহ করছেন।
বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের পরনের গরম পোষাকের বিক্রি হচ্ছে অনেকাংশে বেশী। অপরদিকে বৈরী আবহাওয়া ও শীতের প্রকপ বাড়ায় শিশু ও বৃদ্ধ নারী পুরুষরা সর্দি-জ্বর, কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসা সেবা নিতে স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়ছে।
পোষাক বিক্রেতারা জানায়, এই অঞ্চলে শীত মৌসুমে কোন শৈত প্রবাহের দেখা না মিললেও হঠাৎ মঙ্গলবার থেকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুর্বোগ বেড়েছে। ৩ দিন (গত মঙ্গলবার থেকে) ধরে এ অঞ্চলে সূর্যের আলোর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী-পুরুষ গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন। ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে শিশু আইটেমের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। হঠাৎ শীতে পোষাকের বিক্রি বাড়ায় দোকানীরা আনন্দ প্রকাশ করেছেন। রোকেয়া বেগম, মো. শাহআলম, আলী হোসেন, আবিদা আক্তারসহ বেশ কয়েকজ ক্রেতা জানান, বাড়ির শিশু ও বয়স্কদের শীতের হাত থেকে বাঁচাতে ও বাড়তি স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গরম কাপড় নিচ্ছেন তারা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দিনদিন শীতের প্রকপ বাড়ছে। ৩-৪ দিন ধরে সূর্য উঠছে না। এতে কৃষি জমিতে কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকরা কাতর হয়ে পড়ছেন। বাধ্য হয়েই জীবিকার তাগিদে জমিতে কাঁদামাটি ও ঠান্ডা পানি উপেক্ষা কাজ করতে হচ্ছে তাদের। শীত পরিস্থিতি এমন চলতে থাকলে জীবনকে অতিষ্ট করে তুলবে।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তোহা মোহাম্মদ শাকিল বলেন, তুলনামূলক ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। শিশু রোগীদের জন্য শিশু বিশেষজ্ঞ এবং বয়স্ক রোগীদের জন্য মেডিশিন ও অন্যান্য ডাক্তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে। ঠান্ডাজনিত রোগের হাত থেকে বাঁচতে গরম কাপড় পরিধান করার পাশাপাশি শিশু ও বয়স্কদের ঘরে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।