গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমা হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। ফলে শ্রমজীবি ও নি¤œ আয়ের মানুষের মাঝে বাড়ছে দূর্ভোগ। তাদের বিভিন্ন কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। সোহেল নামে এক রিকশা চালক জানান, হিমেল বাতাসের কারণে ৪দিন ধরে রিকশা চালানো বন্ধ রেখেছিলাম। হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় রিকশা চালাতে হচ্ছে। উপায় নেই, সংসার চালাতে অর্থের দরকার তাই আবার চালাতে শুরু করেছি। এদিকে শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে গরম কাপড়ের চাহিদাও বাড়তে শুরু করেছে। দাম ও গুনগত মানসম্পন্ন আর দোকানভেদে বিভিন্ন ধরনের সোয়েটার, চাদর, ছোটদের গরম কাপড়ের সেট, টুপি পাওয়া যাচ্ছে। জেলা শহরের ভাসমান দোকানগুলোতে গরম কাপড়ের পসরা নিয়ে বসায় বিক্রিও প্রত্যাশার তুলনায় বেশ ভাল হচ্ছে বলে জানান কয়েকজন বিক্রেতা। শীত বাড়ায় গরম পোশাকের বেচাকেনা বেড়ে গেছে। জেলা শহরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে শীতের পোশাক ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে, ফুটপাতের দোকানগুলোতে নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষদের ভীড় বেশী।
ফুটপাত ব্যবসায়ী মোমিন আলী জানান, দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত তারা ব্যবসা চালান। তবে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ক্রেতাদের সমাগম থাকে বেশী। আর শীত যতই বাড়বে ব্যবসা তাদের ততই বাড়বে।
পোশাক কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, তিনি তার শিশু সন্তানের জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন। দোকানগুলোতে সবাই সাধ্যমতো পছন্দের জিনিস কিনছেন। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বাচ্চাদের টুপি, সোয়েটার, জ্যাকেট।