প্রকাশ: রোববার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিশেষ একটি ক্লিনিকে টেস্ট লিখে দেওয়ায় অভিযোগে মেহেরপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবু হাসান মোহাম্মদ ওয়াহেদকে লাঞ্চিত করারা ঘটনা ঘটেছে। মেহেরপুর ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির এবং মেহেরপুর ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিবের লাঞ্চিত করার এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ লাঞ্চিত ঘটনা বুধবার সন্ধ্যায় হলেও শনিবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন নেটিজনের ফেসবুক ওয়ালে ভিডিও চিত্র ভাইরাল হয়।
ভিডিও থেকে জনা যায় বুধবার বিকালে জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের দায়িত্বে ছিলেন ডা. আবু হাসান মোহাম্মদ ওয়াহেদ। এ সময় তিনি আগত রুগীদের ব্যবস্থা পত্রে বিভিন্ন টেস্টের জন্য বিশেষ একটি ড্রাগনিস্ট সেন্টারের নাম লিখে দিয়ে সেখান থেকে পরীক্ষা করে আসার জন্য বলেন। এদিকে মেহেরপুর ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ও মেহেরপুর ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিব তার ডায়গনিস্ট সেন্টারে রুগী না দেওয়ার অভিযোগ তুলে হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে প্রকাশে ডাঃ আবু হাসান মোহাম্মদ ওয়াহিদকে লাঞ্ছিত করেন। এই ঘটনার পর ডাঃ আবু হাসান মোহাম্মদ ওয়াহেদকে কান্নারত অবস্থায় হাসপাতাল ছাড়তে দেখা যায় ভিডিওতে। এর পর থেকে ডাক্তার আবু হাসান মোহাম্মদ ওয়াহিদ কে হাসপাতাল কমপাউন্ডে পাওয়া যায়নি, মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এঘটনা আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হলে তরিকুল মুজিবনগর নামে একজন লিখেছেন গোলামির ফল পাইছেন ডাক্তার। পিয়াস বিশ^াস লিখেছেন আমরা কোথাও না কোথাও জিম্মি হয়ে যাচ্ছি। হানিফ মন্ডল লিখেছেন ঘটনার ধিক্কার জানাই । আবার কেউ কেউ লিখেছেন ঘটনার তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
এই বিষয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক,আমরা দ্রুত এই বিষয়ে সিন্ধান্ত নেবো।
এই বিষয়ে মেহেরপুর কেমিস্ট ও ড্রাগিষ্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং মেহেরপুর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিব বলেন,ঐই সময় আমার মাথা ঠিক ছিলো না,তাই এমন ঘটনা ঘটেছে। তেবে আমার কেউ কিছু করতে পারবে না, আমরা ক্লিনিক ব্যাবসায়ীদের টাকা দিয়ে হাসপাতাল স্টাপদের বেতন হয়, তাই তারা আমার কেউ কিছু করতে পারবে না।