প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩ জুন, ২০২১, ৩:৪৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নতুন এক উদ্যোগ নিল যুক্তরাষ্টের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। পৃথিবী থেকে মহাকাশে প্রাণী পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে সংস্থাটি।
এ ব্যাপারে পরিকল্পনাও শুরু হয়ে গেছে। পাঁচ হাজার টারডিগ্রেড ও ১২৮টি স্কুইডের বাচ্চা মহাকাশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
এই স্কুইড অন্ধকারে জ্বলতে পারে। জীব মহাকাশে কতটা নিজেকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম, এই পরীক্ষার ফলে তা অনেকটাই জানা যাবে বলে মনে করছেন নাসার বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) ফ্যালকন ৯ রকেটে উঠবে এই টারডিগ্রেড ও স্কুইডের বাচ্চাগুলো। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৯ মিনিটে যাত্রা শুরু করবে মিশন।
এর পর প্রাণীগুলোকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে স্পেস এক্সের ২২তম কার্গো মিশনের সময় মহাকাশে পাঠানো হবে।
টারডিগ্রেড ছোট প্রাণী। কেবল এক মিলিমিটার এর দৈর্ঘ। এ ছাড়া এরা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বেঁচে থাকতে সক্ষম। এমনকি উচ্চচাপ ও তেজস্ক্রিয় ক্ষেত্রেও এরা বেঁচে থাকতে পারে।
অথচ এই ধরনের পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ প্রাণীই বাঁচতে পারে না। বেঁচে থাকা এই আশ্চর্য শক্তির কারণে এ প্রাণীগুলোকে বিজ্ঞানীরা মহাকাশের গবেষণা চালানোর জন্য বেছে নিয়েছেন। এদের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা নির্দিষ্ট জিনগুলি বোঝার চেষ্টা করবেন যা জীবকে চরম প্রাকৃতিক পরিবেশে টিকে থাকতে দেয়।
বিজ্ঞানীরা বোবটাইল প্রজাতির স্কুইডের বাচ্চাদের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন পাঠাচ্ছেন। এগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তা হলো এরা অন্ধকারে নিজেদের আলোকিত করার ক্ষমতা রাখে। মাত্র তিন মিলিমিটার হয় এদের দৈর্ঘ্য। এই স্কুইডগুলোর অন্ধকারে জ্বলজ্বল করার পেছনে একটি অঙ্গ দায়ী। এগুলো প্রাণীর ভেতর থেকে আলো বিচ্ছুরিত করে।
আলো না থাকলে বায়োলুমিনসেন্ট ব্যাকটেরিয়া থেকে এরা আলোকিত হওয়ার জন্য সহায়তা গ্রহণ করে। তবে এটি অন্তর্নির্মিত নয়। বহু বছর ধরে ব্যাকটেরিয়াগুলো মহাসাগর থেকে স্কুইডের দেহে জমা হয়। গবেষকরা মহাশূন্যে যাত্রা শুরুর আগে বাচ্চা স্কুইডদের দেহে এই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করান।
ভোরের পাতা/কে