বঙ্গবন্ধুর রয়ে যাওয়া স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন শেখ হাসিনা: মিজানুর খান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১, ১০:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয় যে, আমরা এই সরকারের আমলে, এই সরকারের তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করতে পারছি। এবং আরও সৌভাগ্যের বিষয় যে একই সাথে একই বছরে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ; একটি আরেকটির সাথে জড়িত। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর যদি জন্ম না হতো তাহলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। মানুষদের আকর্ষণ করার যে ঐতিহাসিক ক্ষমতা ছিল, যে দুর্দান্তিক ক্ষমতা ছিল সেটা নিয়ে অনেক কম পুরুষ জন্ম নিয়েছে। আজকে সেই মহামানবের রয়ে যাওয়া স্বপ্ন অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২৮০তম পর্বে সোমবার (১৬ মার্চ) আলোচক হিসাবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার, প্রফেসর মাসুদ এ খান, বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, দ্য পিপলস টাইমের প্রধান উপদেষ্টা, স্পেন আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন আতা, বার্লিন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর খান। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মিজানুর খান বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন, যে বঙ্গবন্ধু শুধু আমার নয়, সারা বিশ্বের মেহনতি মানুষের নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যদি একটি উন্নতশীল দেশে জন্ম হতো তাহলে আমার মনে হয়, বঙ্গবন্ধু বিশ্বের প্রথম সারীর নেতা হতেন। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুকে দেখেনি, মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, তাদেরকে কাছে এই বছরটা অনেক আনন্দের অনেক গর্বের যে আমরা এই ২০২১ সালে তার জন্মশতবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছি। আমরা আজকে জার্মানের একশটি পরিবার ১০০টি কেক একসাথে কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছি। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ইতিহাসের এক অবিনাশী গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। আর এ যুগের এক মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্থির লক্ষ্য সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়েছেন। তিনি কোথাও মাথা নত করেননি, আপস দূরে থাক। জেল, জুলুম, হুলিয়া, অত্যাচার ইত্যাদি কোনো কিছুতেই ভীত হননি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত , দুর্নীতি ও শোষণহীন সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ। 'বাংলার মানুষের মুক্তি' এই দর্শনের ওপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধু আধুনিক রাষ্ট্রের রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন, যা দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (১৯৭৩-১৯৭৮) প্রতিফলিত হয়েছিল। তাঁরই দেখানো পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে এমডিজির অধিকাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ নিম্ন মধ্যআয়ের দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীর, শ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহানায়ক, মহামানব হিসেবে চির স্মরণীয় একটি নাম। আজকে সেই মহামানবের রয়ে যাওয়া স্বপ্ন অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।