ক্যারিয়ারের দীর্ঘতম সেঞ্চুরি খরা চলছে বিরাট কোহলির। সেই খরা কাটাবেন কী, উল্টো আবার তিনি আউট হলেন শূন্য রানে। এই পরিক্রমায় ভারতীয় অধিনায়ক নাম লেখালেন অনাকাক্সিক্ষত এক রেকর্ডে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আহমেদাবাদ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে গতকাল সকালে বেন স্টোকসের বলে শূন্য রানে ফেরেন কোহলি। তার টেস্ট ক্যারিয়ারের এটি দ্বাদশ ‘ডাক’, অধিনায়ক হিসেবে অষ্টম। রেকর্ড ছুঁলেন এখানেই, মহেন্দ্র সিং ধোনি পেলেন একজন সঙ্গী।
ভারতের অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে সবচেয়ে বেশি শূন্য! ভারতের নেতৃত্বে টেস্টে ৮ বার শূন্য রানে আউট হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে ধোনিরও। মনসুর আলি খান পতৌদি এই স্বাদ পেয়েছেন ৭ বার, কপিল দেব ৬ বার।শুধু টেস্টেই নয়, তিন সংস্করণ মিলিয়েও হতাশার এই রেকর্ডের শীর্ষে উঠে গেছেন কোহলি। যেখানে তার নাম এখন সৌরভ গাঙ্গুলির পাশে। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন সৌরভ। এবার ১৩ শূন্য হয়ে গেল কোহলিরও। ধোনির শূন্য ১১টি, কপিলের ১০টি। অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ‘ডাক’ পাওয়ার বিশ্বরেকর্ড স্টিভেন ফ্লেমিংয়ের।
সাবেক নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক নেতৃত্বের ম্যাচে ১৩টি শূন্য পেয়েছেন টেস্টে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৭টি।এই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে আরও কিছু অনাকাক্সিক্ষত প্রাপ্তি হয়ে গেছে কোহলির। এই সিরিজে চেন্নাই টেস্টেও শূন্য রানে ফিরেছিলেন তিনি। দেশের মাটিতে এক টেস্ট সিরিজে দুই বার শূন্যতে বিদায় নেওয়ার অভিজ্ঞতা তার এটিই প্রথম।
গোটা ক্যারিয়ারে এক সিরিজে দুই বার শূন্য রানে ফিরেছিলেন আগে একবারই, ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে সেই বিভীষিকার সিরিজে। যে সিরিজের ব্যর্থতার পর টেস্ট ক্যারিয়ার নতুন করে সাজিয়েছিলেন তিনি।সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলির ‘ডাক’ এখন ২৭টি, ভারতের হয়ে যা দশম সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি ৪৩টি শূন্য জহির খানের।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে শচিন টেন্ডুলকারের শূন্য ৩৪টি, বিরেন্দর শেবাগের ৩১টি, সৌরভ ও কপিলের ২৯টি, যুবরাজ সিং ২৬টি, সুরেশ রায়না ২৫টি, রাহুল দ্রাবিড়ের ২০টি।