বগুড়ার শেরপুরে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করছে ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক। এর মধ্যে বেশিরভাগ কমিউনিটি ক্লিনিক ২০০০ সালের আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। তাই ভবনের টেম্পার কমে ছাদ ও দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে হুমকীর মধ্যে রয়েছে সাধারণ জনগোষ্ঠীকে সেবাদানকারী কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)। তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনগুলো পুনর্নির্মানের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠির জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। তার মধ্যে খানপুর ইউনিয়নের ছাতিয়ানী কমিউনিটি ক্লিনিক, মির্জাপুর ইউনিয়নের বিরোইল, মাথাইল চাপড়, সিমাবাড়ী ইউনিয়নের নিশিন্দারা, লাঙ্গলমোড়া, খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর, গাড়িদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া, গাড়িদহ, কুসুম্বী ইউনিয়নের জামুর ও শাহবন্দেগী ইউনিয়নের কানাইকন্দর কমিউনিটি ক্লিনিকের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে নিশিন্দারা, জামুর, ছাতিয়ানী ও বিরোইল কমিউনিটি ক্লিনিকের ছাদ ধসে পড়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে ছাদ দিয়ে পানি পড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সিএইচসিপিরা জানান। তারা আতংকের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ভবনগুলোর পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সিএইচসিপিরা।
এ ব্যাপারে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার রাশেদুল হক, সোমা রানী দাস, খুরশিদা জাহান, আবদুল বাতেন জানান, আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকের অবস্থা একেবারেই নাজুক। সব সময় আতঙ্ক নিয়ে বেহাল এমন সিসিতে বসে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। এখন শীতের কারণে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছেনা। কিন্তু আগামি বর্ষা মৌসুমেই ছাদ দিয়ে পানি পড়বে। তাই সিসিগুলো পুনর্নির্মানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল কাদের জানান, এ উপজেলার কয়েকটি কমউিনিটি ক্লিনিকের অবস্থা আশঙ্কাজন। ওই সিসিগুলোর তালিকা করে সিভিল সার্জন অফিস ও বিএমআরসি ভবনে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গউসুল আজিম চৌধুরী বলেন, জরাজীর্ন কমিউনিটি ক্লিনিকের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছি। বিষয়টি চলমান রয়েছে। প্রকল্পগুলো অনুমোদন হলেই কাজ শুরু করা হবে।