বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ৮ মাঘ ১৪৩১

শিরোনাম: নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা   বাণিজ্য মেলা শুরু বুধবার, যা থাকছে এবার   থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো বন্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ   সংবিধান বাতিল না করে সংশোধন করা যেতে পারে   মনমোহন সিংয়ের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা   সোহেল তাজের সঙ্গে বাগদান, পাত্রীর পরিচয়   নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে যা বলছেন সিইসি   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
স্মার্ট বাংলাদেশে নৌকার বিজয়, টেকব্যাকের পরাজয়
ড. কাজী এরতেজা হাসান
প্রকাশ: শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৪, ১০:১১ পিএম

আজ রবিবার ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গোটা জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুণছিল এই নির্বাচনের দিনটির জন্য। জাতির সামনে আজ সেই নির্বাচনের দিনটি এসেছে। অনেক অনিশ্চয়তা ও নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন প্রস্তুতির উত্তাপ এরই মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিজেদের সাধ্যমতো প্রচারের কার্যক্রম শেষও করেছে। তবে প্রচার কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা পরস্পরের প্রতি যে ঘৃণা, বিদ্বেষ, আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের ঘটনা ঘটিয়েছেন, দেশের সাধারণ মানুষ দর্শকের মতো তা উপভোগ করেছে। এবারের ব্যতিক্রমী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাদের মহাজোটের দলগুলোই শুধু অংশগ্রহণ করছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই মনোনয়নবঞ্চিতদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি আওয়ামী লীগ থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী কে হবেন, সেটিও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভোটের মাঠ শুরুতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দলীয় ও স্বতন্ত্র উভয়েই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হওয়ায় শক্তিমত্তায় কেউ কারও চেয়ে কম নন এবং একে অপরের রাজনৈতিক ও চারিত্রিক দুর্বলতা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত আছেন। এখন একে অপরকে ঘায়েল করার জন্য সেগুলোই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ডিজিটাল আইনের ভয়ে এত দিন দেশের মানুষ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের অপকর্ম, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের যে কথা সাহস করে বলতে পারেনি, সে কথাই এখন বিনা খরচায় ক্ষমতাসীন দলের লোকের মুখেই তা শুনতে পাচ্ছে। তাঁদের এরূপ নির্বাচনী বাহাসে দলীয় অনেক গোপন রাজনৈতিক তথ্যও জনসমক্ষে চলে এসেছে।

নির্বাচনের আগের দিন গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি বলেছেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি এটা বলা উচিত হবে না। সিইসি যথার্থ বলেছেন। দেশের নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে নির্বাচনে ২৮টি দল অংশ নিয়েছে এবং ১৯৩১জন প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় যারা এক ধরনের মায়াকান্না করেছে। দলটি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় কি ধরনের রাজনৈতিক সাফল্য অর্জন করলো তা নিয়ে অস্পষ্টতা আছে। দলটি নির্বাচন বর্জন করে শুভবুদ্ধির পরিচয় দেয়নি বরং নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করার অপচেষ্টা দেখিয়েছে। 

নির্বাচনের বেশ আগে থেকেই ভোটারদের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের জন্য নানা ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছিল। বাস্তবে তাই হলো-বেনাপোল এক্সপ্রেসে নাশকতার মাধ্যমে আগুন লাগানো হয়। এতে ৪ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে। ৮ জন দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন। তারা আশঙ্কামুক্ত নন। বিএনপি তিনদিনের হারতাল ডেকে বসে যা নির্বাচনের দিনকে পেচিয়ে। দলটি একদিকে নির্বাচন বর্জন করেছে, অন্যদিকে নির্বাচন বানচালের জন্য উš§ত্ত হয়ে হরতাল, নাশকতামূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এভাবে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রবিমুখ দেখতে চায়। কিন্তু প্রমাণ হবে আজ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হলো। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও জাতি মহা বিজয়ের পথেই আছে। 

আমরা যদি একটু পেছনে তাকাই তাহলে দেখবো যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা মহল নানা ষড়যন্ত্র এবং নির্বাচনকে বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা নিয়েছে। এতে বিএনপি বরাবরই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিদেশি কূটনীতিকদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিয়ে গেছে। বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে দলটি নির্বাচনে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ মহান সংবিধানের প্রতি সশ্রদ্ধ থেকে সংবিধানের আলোকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে অনড় অবস্থানে থাকে। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জয় হয়েছে। এটাকে সাধারণ কোন জয় বলবো না আমরা এটা মহাবিজয় বলবো। বিএনপি নিরঙ্কুশভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে আসছিল। এর কারণ ছিল বিদেশি প্রভুদের দিয়ে তত্ত্বাবধায় সরকারের প্রধান বানিয়ে গোটা তত্ত্বাবধায় সরকার বিএনপির অনুগত করে যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন পুড়ে ছাড়খার হয়ে গেছে। আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ ভোটদানের মাধ্যমে বিএনপিকে সঠিক জবাব দেবে। বিএনপি বুঝতে পারবে, ষড়যন্ত্র এবং বিদেশি প্রভুদের সাহায্য নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখা কতটা আহাম্বকি। দেশের মানুষের ওপর ভরসা না করে ষড়যন্ত্র ও অগ্নিসন্ত্রাস, নাশকতা করে ক্ষমতায় যাওয়ার কথা ভাবা ঠিক নয়। শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ভোটারদের উদ্দেশ্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। ভোট প্রদানে কারো হস্তক্ষেপ বা প্ররোচনায় প্রভাবিত হবেন না। কোনো রকম বাধার সম্মুখীন হলে অবিলম্বে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করবেন। আমি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা (ভোটাররা) আগামীকাল অনুষ্ঠেয় দীর্ঘ প্রতিক্ষীত জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসাহ ও উদ্দীপনা সহকারে ভোটকেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে আপনাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে সংসদ ও সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালন করুন। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গমনের সুবিধার্থে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সিক্যাব, ট্রাক ব্যতীত অন্যসব ধরনের যানবাহন উš§ুক্ত থাকবে। ভোট দিতে কোনো রকম বাধার সম্মুখীন হলে অবিলম্বে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করবেন। প্রিজাইডিং অফিসার যেকোনো মূল্যে যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করে ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আইনত দায়িত্বপ্রাপ্ত ও বাধ্য। প্রিজাইডিং অফিসারকে সহায়তা করতে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটরা নিকটেই অবস্থান করবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 
জাতির উদ্দেশে দেওয়া সিইসির ভাষণ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আজ ভোটদানে যারা বাধাসৃষ্টি করবে, আমরা মনে করি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং প্রত্যেকটি সহিংস ঘটনার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া থেকে পিছু হটবে না। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয়, তা অনেকটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করবে। সুতরাং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন থাকবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশি-বিদেশি বহু পর্যবেক্ষক সরেজমিনে থাকবে। অনেকের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে দিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ২০০’র উপরে বিদেশি পর্যবেক্ষক কূটনীতিক অংশ নেবে। নির্বাচন কতটুকু অবাধ ও সুষ্ঠু হলো সার্বিক বিষয়টি নিশ্চিতভাবে এসব বিদেশি পর্যবেক্ষকদের চোখ এড়িয়ে যাবে না এবং তারা যখন এ ব্যাপারে কথা বলবেন, তা তাদের কথায় বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

আজকের নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য করানো এখন আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও ভোটকেন্দ্রে অধিক ভোটার উপস্থিতির মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা আওয়ামী লীগের বরাবরই ছিল। সেই উদ্দেশ্য সামনে রেখে তারা বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও সক্রিয়। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পুলিশের কর্মকর্তারা ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে মিটিং করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি সব ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও দিয়েছেন। এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। ইতিপূর্বে কোনো জাতীয় নির্বাচনেই ভোটকেন্দ্রে ভোটার সমাগমের জন্য পুলিশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এভাবে অনুরোধ করেছেন কি না, জানা নেই। ওদিকে নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপির সমর্থকেরা ভোট দিতে না গেলে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীর তালিকা থেকে তাঁদের নাম কেটে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্যের এমন একটি হুমকির ভিডিও ক্লিপ নেট দুনিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে অধিকসংখ্যক ভোটার উপস্থিত করানোই এখন আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এক মাঠ জরিপে দেখা গেছে, ৩০০ আসনের মধ্যে অন্তত ৭৫টিতে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। এসব আসনের দু-চারটি ছাড়া বাকিগুলোতে অন্যান্য দলের প্রার্থীরাও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারছেন না। যেসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম, সেই সব আসনে ভোটারদের ভোট নিয়ে আগ্রহও থাকে কম। ফলে সব মিলিয়ে অন্তত শতাধিক আসনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও নির্বাচনে ২৮ দল অংশ নেওয়ায় এবং ১৯৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক মর্যাদা পাবে এটাও বলা যায়। যে দল নির্বাচন বর্জন করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিতর্কিত করার প্রয়াস নেবে, বলা যায় তাদের এই অপচেষ্টা হালে পানি পাবে না। আবারও ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এককভাবে জয়ী হবে এবং সরকার গঠন করে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি ধরে রাখবে বলেই বিশ্বাস করি। নানামূখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি এনে দিচ্ছেন। বিএনপি জামায়াতের টেক ব্যাক বাংলাদেশ নয়, আমরা উন্নয়ন সমৃদ্ধির বাংলাদেশ চাই। তাই আজকের নির্বাচনে টেকব্যাক বাংলাদেশ পরাজিত হবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ জয়ী হবে, ইনশাআল্লাহ। শেখ হাসিনাতেই আস্থা রাখুন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে তার কোনো বিকল্প নেই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।  

লেখক:
সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক ভোরের পাতা, দ্য পিপলস টাইম; 
সহ-সভাপতি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ; 
সাবেক পরিচালক, এফবিসিসিআই; 
চেয়ারপারসন, ভোরের পাতা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com