
নির্বাচন ঘিরে ২০টি ভোটকেন্দ্র পোড়ানো ও ট্রেনে আগুন দেওয়াসহ প্রতিটি নাশকতায় বিএনপির লোকজন জড়িত প্রমাণ হয়েছে বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ এ আরাফাত।
তিনি বলেন, প্রতিটি হামলার ক্ষেত্রে যখনই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যখনই কেউ ধরা পড়ছে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, যুবদল কিংবা বিএনপির কোনও না কোনও পর্যায়ের নেতাকর্মী জড়িত। এদের অনেকে ধরা পড়ার পর অপরাধ স্বীকারও করেছেন।
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, শুক্র ও শনিবার বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা সারাদেশে ২০টিরও বেশি ভোটকেন্দ্র পুড়িয়েছে। তারা রাজবাড়ীতে গ্রাম পুলিশের এক সদস্যকে হত্যা করেছে, রামুতে রাখাইন মন্দিরে আগুন দিয়েছে। এ ছাড়া ডেমরা ও কুমিল্লা দুটি বাসে আগুন এবং ভোলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলা করেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বিমুখ চিত্র প্রকাশ হয়ে যায়। নির্বাচনের বিরোধিতা ও সন্ত্রাসের ইতিহাস তাদের ডিএনএ-তেই আছে। এজন্য গণতন্ত্রের ধারার বাইরে গিয়ে তারা আবারও ২০১৪-১৫ এর মতো পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার বিএনপির দেওয়া আগুনে বেনাপোল এক্সপ্রেসে মা ও শিশুসহ চারটি তাজা প্রাণ ঝড়ে গেছে। আরও কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, তারা নাশকতা করে মানুষ হত্যা করে। অথচ তাদেরই লোকজন এক্স (টুইটার), ফেসবুক, টেলিভিশন টকশো এবং অনলাইন বিভিন্ন মাধ্যমে অসত্য-অপপ্রচার করে সবগুলো দোষ। সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। মানুষের মনে সন্দেহ তৈরির চেষ্টা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, উপপ্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও গোলাম রব্বানী চিনু প্রমুখ।