সোমবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: ভয়ের কোনো কারণ নেই, নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে: তারেক রহমান   স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পাশে দাঁড়িয়ে তার পদত্যাগ চাইলেন সাদিক কায়েম   বসুন্ধরা খাতার পক্ষ থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের মাঝে ব্রেইলবুক বিতরণ   বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অভিযোগ   হাদীকে হামলার পর ঝিনাইদহ মহেশপুর সীমান্তে বিজিবি'র সর্বোচ্চ সতর্কতা   বাজুসের প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর, প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান দোলন   হাদির শ্যুটারকে ভারতের গুয়াহাটিতে শেল্টার দিচ্ছেন নানক!   
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763085968.gif
বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অভিযোগ
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:১০ পিএম

অনিয়ম, দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদীর দোসর হিসেবে ভূমিকা পালনের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার এবি পার্টির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল ও পটুয়াখালীর বাসিন্দা মুহাম্মদ জাকির হোসাইন রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে এ অভিযোগ জমা দেন।

আনোয়ার সাদাত টুটুল বলেন, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতি, অপেশাদার আচরণের দ্বারা বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এবং এ দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা ও সম্মান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এ অভিযোগ দাখিল করেছি।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ উপার্জন, অর্থের বিনিময়ে রায় বাণিজ্য, তৎকালীন আওয়ামী সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ার হীন স্বার্থে বিভিন্ন মামলায় অন্যায্য রায় ও আদেশ প্রদান, তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি কিছু আইনজীবীর সঙ্গে সিন্ডিকেট করে মামলার রায় প্রদান করেন। হাইকোর্ট বিভাগে থাকাকালীন তিনি যেসব মামলায় ঘুষ গ্রহণ করতেন, সেই মামলাগুলোতে শর্ট রুল ইস্যু করে দ্রুত শুনানি করে ঘুষদাতার পক্ষে রায় প্রদান করতেন।

দাখিল করা অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে উন্নীত হন। তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ২০১৮ পরবর্তী অনির্বাচিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের মতাদর্শী হিসেবে শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার তাপসের সুপারিশে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তার পিতা প্রয়াত বিচারপতি এ. কে. এম. নুরুল ইসলাম ১৯৮৬-১৯৮৯ পর্যন্ত স্বৈরাচার এইচ. এম. এরশাদের নেতৃত্বাধীন সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

তিনি এইচ. এম. এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে সংসদ নির্বাচন করে পরাজিত হন।

অভিযোগে বলা হয়, বিচারপতি জনাব মো. আশফাকুল ইসলাম নিজেও একজন আওয়ামী লীগের লেসপেন্সার। তিনি শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর। তিনি বিভিন্ন রায় ও আদেশে শেখ মুজিবুর রহমানের গুণকীর্তন করেছেন। বিভিন্ন রায়ের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করতে সহযোগিতা করেছেন।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »





http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763086027.gif

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1765376223.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763085829.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763085901.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/1763091212.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]