প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৪৫ পিএম

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ৯ মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূ ও তার মায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্বামী বাদল মিয়া রবিবার (৭ ডিসেম্বর) পাকুন্দিয়া থানায় স্ত্রী, শাশুড়ি ও সমন্দিকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে কাগারচর গ্রামের মৃত সবজালীর ছেলে মো. বাদল মিয়ার সঙ্গে তালদশী গ্রামের মৃত হযরত আলীর মেয়ে স্বপ্না আক্তারর বিয়ে হয়। বিয়ের প্রথমদিকে সুখের দাম্পত্য থাকলেও পরে স্বামীর আর্থিক অবস্থাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী স্বপ্না ও শাশুড়ির আচরণ বদলে যায়।
বাদলের অভিযোগ, শাশুড়ির প্ররোচনায় স্ত্রী তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করে। এর মধ্যেই স্বপ্না অন্তঃসত্তা হন। সাত মাসের মাথায় গত ৭ সেপ্টেম্বর শাশুড়ি কৌশলে স্বপ্নাকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
পরবর্তীতে গত ৪ নভেম্বর স্বপ্নার ৯ মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করা হয়— এমনই অভিযোগ বাদলের।
বাদল মিয়া জানান, “স্বপ্না অন্তঃসত্তা হওয়ার পর আমি তাকে মনোহরদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আল্ট্রাসনোসহ পরীক্ষা করাই। ডাক্তার বলেছিলেন, সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ আছে, ২০ ডিসেম্বর প্রসবের সম্ভাবনা। কিন্তু এখন দেখি তার গর্ভে সন্তান নেই। তদন্ত করে জেনেছি আমার শাশুড়ি সন্তান নষ্ট করিয়েছে। বিচার চাইতে গেলে সমন্দি আমাকে গালাগাল করে তাড়িয়ে দেয়।”
অভিযুক্ত স্ত্রীর বড় ভাই মো. হাবিবুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বাদলের অভিযোগ সঠিক নয়। মনোহরদী হাসপাতালে স্বপ্নার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছিল। এখন সে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমরা নিজেরাও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”
পাকুন্দিয়া থানার ওসি তদন্ত মোবারক হোসেন বলেন, উভয়পক্ষের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।