
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল–সখীপুর) আসনে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করে ইতোমধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন দেশের উদীয়মান শিল্পপতি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি ও লাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল। ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য এ অঞ্চলে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত মুখ। এবার তার সক্রিয় নির্বাচনী তৎপরতা ভোটারদের মধ্যে নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোডাউন ও জনসমাবেশ
সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোডাউন, পথসভা ও জনসমাবেশ করে চলেছেন। এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী মানুষের ভিড় এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা তাকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আরও শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
৩০০ মসজিদে ৭৫ লাখ টাকার অনুদান
শনিবার বিকেলে সখীপুর পিএম পাইলট গভ. মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি ৩০০টি মসজিদে মোট ৭৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নকে সমাজ উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখেন বলে জানান তিনি। স্থানীয় মানুষের মতে, এই অনুদান শুধু দান নয়, দীর্ঘদিন ধরে তার ধারাবাহিক সামাজিক দায়িত্ববোধেরই অংশ।
ব্যবসায়িক সফলতা ও পরিচিতি
দেশের অন্যতম দ্রুতবর্ধনশীল কোম্পানি লাবিব গ্রুপ–এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল ব্যবসা, শিল্প ও কর্মসংস্থানে বিশেষ অবদান রেখে তরুণ উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে পরিচিত। তার নেতৃত্বে গ্রুপটি বিভিন্ন শিল্পখাতে বিনিয়োগ করে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। স্থানীয়ভাবে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কারণে তিনি এ অঞ্চলে একজন নির্ভরযোগ্য সামাজিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও পরিচিতি অর্জন করেছেন।
টাঙ্গাইল-৮ আসন দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক গুরুত্বের জায়গা ধরে রেখেছে। এখানে নতুন মুখ হিসেবে সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেলের আগমন স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা ও ব্যবসায়িক অনুপ্রেরণামূলক ব্যাকগ্রাউন্ড তাকে আরও এগিয়ে রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, যদি তিনি প্রার্থী হন, তবে উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, অবকাঠামো, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ—এই পাঁচটি বিষয়ে তার পরিকল্পনা এলাকায় নতুন উন্নয়নধারা এনে দিতে পারে। অনেকেই আশা করছেন, একজন সফল শিল্পপতি হিসেবে তার অভিজ্ঞতা এলাকায় উন্নয়নের ‘নতুন অধ্যায়’ রচনা করতে পারে।
তিনি সম্প্রতি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন—“জনগণ চাইলে আমি নির্বাচনে অংশ নেবো। ইতোমধ্যে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এই সাড়া অব্যাহত থাকলে অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো।”
তবে তিনি এখনো স্পষ্ট করে জানাননি, তিনি দলীয় প্রতীক নিয়ে নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।