
এশিয়া কাপের অঘোষিত ‘সেমিফাইনালের’ মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কঠিন চাপে পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে সুপার ফোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১ ওভারে মাত্র ৫১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তান।
পাকিস্তান শিবিরে ইনিংসের প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন বাংলাদেশ দলের গতিময় পেসার তাসকিন আহমেদ। তার করা ওভারের চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান। তিনি চার বলে মাত্র ৪ রানে ফেরেন।
এরপর দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে পাকিস্তান শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন শেখ মেহেদি হাসান। তিনি ওভারের চতুর্থ বলে সাইম আইয়ুবকে সাজঘরে ফেরান। তার বিদায়ে ১.৪ ওভারে ৫ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
প্রথম দুই ওভারে ২ উইকেট পতনের কারণে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২৭ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান।
৬.৩ ওভারে দলীয় ২৯ রানে ফেরেন পাকিস্তানের বর্তমান দলের অন্যতম সেরা এবং অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ফখর জামান। তিনি রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন। তার আগে ২০ বলে মাত্র ১৩ রান করার সুযোগ পান পাকিস্তানের এই ওপেনার।
এরপর নবম ওভারে বোলিংয়ে এসেই পাকিস্তান মিডঅর্ডার ব্যাটসম্যান হুসাইন তালাতকে আউট করেন রিশাদ হোসেন। তার বলে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে দলীয় ৩৩ রানে ফেরেন তালাত। তিনি ৭ বলে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি।
ইনিংসের শুরু থেকে ব্যাটসম্যানদের এমন আসা-যাওয়ার মিছিলের কারণে ১০ ওভারে ৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান; দুই দলের জন্যই ‘অঘোষিত’ সেমিফাইনাল। হারলে বিদায়, জিতলে রোববার ভারতের সঙ্গে ফাইনালে খেলার সুযোগ।
বাংলাদেশ: সাইফ হাসান, পারভেজ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী (অধিনায়ক), শামীম হোসেন, নুরুল হাসান, রিশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তান: সাহিবজাদা ফারহান, ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ নেওয়াজ, সালমান আগা (অধিনায়ক), ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটকিপার), শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।