
‘রিমঝিম ঘন ঘন রে বরষে’ এই গানের মধ্যদিয়ে উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই) মালয়েশিয়া চ্যাপ্টারের উদ্যোগে বর্ষা উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।
গত শনিবার বিকাল থেকে রাত অবধি কুয়ালালামপুরের ভিলা ওয়াংসামাস কন্ডোমিনিয়ামের হলরুমে অর্ধশতাধিক সফল প্রবাসী নারী উদ্যোক্তাদের নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই বর্ষা উৎসব। এ সময় বর্ষাকালীন স্মৃতি, অভিজ্ঞতা, এবং গল্প নিয়ে শুরু হয় আলোচনা ও আড্ডা।
বর্ষাকথনসহ অন্যান্য আয়োজনের মাধ্যমে রাত ৯টায় শেষ হয় এই বর্ষা উৎসব। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই)-এর মালয়েশিয়ার প্রধান রাকিবা রিয়াজ টিনা। সঞ্চালনায় ছিলেন সানজি ইসলাম।
টিনা বলেন, সংসার সামলিয়ে কর্মব্যস্ত জীবনে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করে, তাদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে এবং একই সাথে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করবে বলে মনে করেন।
বর্ষার সঙ্গে বাংলার মানুষের সম্পর্ক বহু প্রাচীন। বর্ষা উৎসব ও আড্ডা অনুষ্ঠানে বর্ষাকথনে ক্ষণে ক্ষণে ভেসে আসে গ্রামবাংলার প্রকৃতিতে বর্ষার আবেদনের কথা।
বর্ষা আবহমান বাংলার শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। বর্ষা উৎসব হলো বাংলার অপরূপ ঋতু এবং প্রবাসে এটি উদযাপনের মাধ্যমে প্রবাসী নারীরা দেশের সংস্কৃতির সাথে ঐক্য, আনন্দ ও সৃজনশীলতা প্রকাশ করেন। এই ধরনের আয়োজন প্রবাসে বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করে। জীর্ণতা ধুয়েমুছে নতুন করে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিক এবারের বর্ষা, এমনি প্রত্যাশা তাদের সকলের।
সভ্যতার দম্ভ ও প্রকৃতির ঔদার্যের মধ্যে বৈরিতা মানুষের অস্তিত্বের জন্য তৈরি করছে হুমকি। উন্নয়নের নামে প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানান বর্ষা উৎসবের আয়োজকরা।
বর্ষা উৎসব অনুষ্ঠানের স্টলে নারীদের হাতে তৈরি নকশি-কাঁথা সেলাই, হরেক রকমের অলঙ্কার, ঘর সাজানোর জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হয়। পরিবেশিত হয় দেশীয় নানা মুখরোচক খাবার ও মিষ্টান্ন। প্রাণখোলা আড্ডায় নতুন-পুরনো প্রবাসীদের মধ্যে বন্ধনের এক উষ্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুলতানা মাহবুব, আয়েশা আহমেদ, রেজওয়ানা আহমেদ, ফাউজিয়া সুলতানা, মুনিরা আক্তার, আফসারি জাহান খান, নুসরাত জাহান খানম, ফাতেমা নাজনিন, শিমা আরশাদ, তানি হাসানসহ অনেকে।