প্রকাশ: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৪৩ পিএম

বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সিন্ডিকেট সরকারের চেয়ে বড় নয়। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার কাজ করছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই দেশের তেলের বাজারে যে অস্থিরতা, তা কেটে যাবে। বন্দর থেকে শুরু করে খাতুনগঞ্জ সবখানেই তেলের মজুদ যাচাই-বাছাই ও মনিটরিং চলছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বেসরকারি খাতে লিজ দেওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত দৌলতপুর জুটমিল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বন্ধ পাটকলগুলো সরকারিভাবে চালুর কোনো সুযোগ নেই। বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আগের সরকারের করা পাটকল লিজ নীতিমালা পরিবর্তন করা হচ্ছে। যেখানে বিজিএমসির মিলগুলোতে পাটের পাশাপাশি অন্য পণ্য উৎপাদনের সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। এর ফলে স্তিমিত থাকা পাটকল লিজ প্রক্রিয়া গতি পাবে, সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান।’
তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে কুড়িগ্রামের বন্ধ টেক্সটাইল মিল লিজ দেওয়া হয়েছে। এ সপ্তাহে আরো তিনটি মিল লিজ প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাটকল চালুর ক্ষেত্রে শুধু হাজার কোটি টাকা লোকসান ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে ফলপ্রসূ কিছুই হয়নি। তাই সরকারের মালিকানায় থাকা জুট ও টেক্সটাইল মিলগুলো ব্যক্তিখাতে ছেড়ে দেওয়ায় পরিকল্পনা রয়েছে।
দেশে বিদ্যমান সব পাটকল চালু রাখতে বছরে প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন পাটের প্রয়োজন। কিন্তু দেশে পাটের উৎপাদন শুধু ১২ লাখ মেট্রিক টন। সারা বিশ্বে বার্ষিক পাটের উৎপাদন মাত্র ২৫ লাখ মেট্রিক টন। সে ক্ষেত্রে শুধু পাট দিয়ে এতগুলো প্রতিষ্ঠান চালু রাখা বাস্তবসম্মত নয়।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘খুলনার দৌলতপুর জুটমিলটি বেসরকারি উদ্যোগে চালু হওয়ায় প্রায় সাত শত লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ক্রমান্বয়ে এখানে আরো তিন হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ধরনের সফল উদ্যোগ ও বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের পথ খুলে যাবে।’
মিলটি পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও দৌলতপুর জুটমিলের কর্মকর্তারা।