প্রকাশ: রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৪৩ পিএম আপডেট: ০২.০২.২০২৫ ৮:৪৬ PM

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। দাবি পূরণ না হলে ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন তারা। গণহত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
এছাড়া আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি জুলাই অভ্যুত্থানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং ১০ ফেব্রুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা।
এ সময় বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, যে দল এবং প্রশাসন দেশের মানুষকে এত নির্যাতন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ এখনও নেওয়া হয়নি। আহত ছাত্র-জনতা যে উদ্দেশ্যে জীবন দিয়েছে তার পক্ষে কোনও কাজই সরকার করছে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে রাজনীতি করবে কিনা এই সিদ্ধান্ত দেবে আহতরা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা। আহত এবং শহীদ পরিবারের কেউই আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ না করলে ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করবো।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ না করলে রাষ্ট্রের জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেবে। তখন জনগণকে সন্ত্রাসী কিংবা উগ্রবাদী বলতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের কাছে জুলাইয়ের বিপ্লবীরা নিরাপদ না। ইতোমধ্যে তারা নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। গুপ্তহত্যার শঙ্কা সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও মন্ত্রণালয়গুলোতে যোগ্য লোক নিয়োগ দিতে পারেনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান অস্থিরতা বন্ধ করতে পারেনি। দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগে কোনও তথ্য দিচ্ছে না। এমন বহু জায়গায় ব্যর্থতা আছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের।
তাদের ৬ দফা দাবি হলো
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, প্রশাসন ও ব্যবসা অঙ্গনে আওয়ামী দোসরদের নির্মূলে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া, আহতদের পুনর্বাসন এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা, ছাত্রদের নিয়ে জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল গঠন করা, গণঅভ্যুত্থানের সকল অংশীজনকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন এবং গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সকল ব্যক্তি-সংগঠনকে স্বীকৃতি দেওয়া।