প্রকাশ: বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৪৫ পিএম

ছবি নয় বরং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন করেছেন পর্দানশিন নারীরা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পর্দানশিন নারীসমাজ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়।
সম্পূর্ণ পর্দা করার কারণে শিক্ষাক্ষেত্রেও নারীরা বঞ্চনার শিকার দাবি করে মানববন্ধন শেষে জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসারকে স্মারকলিপি দেওয়া প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন তৌফিয়া খাতুন, আহমদ নুরজাহান মতি, মাকসুদা আক্তার, মাহফুজা খাতুন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শুধু ছবির কারণে অসংখ্য পর্দানশিন নারীর নাগরিকত্ব আটকে রাখা হয়েছে। এ কারণে ওই সব নারী মৌলিক ও নাগরিক অধিকার বঞ্চিত। এনআইডি না থাকায় তারা বিভিন্ন সুবিধা ও সেবা থেকে বঞ্চিত। বিগত নির্বাচন কমিশনসমূহের কিছু কর্মকর্তা এজন্য দায়ী।
তাদের বিচার হওয়া উচিত।
বক্তারা আরো বলেন, ছবির সঙ্গে চেহারা মেলানো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) যুগে সেকেলে পদ্ধতি। পরিচয় শনাক্তের আরো অনেক আধুনিক ও নির্ভুল পদ্ধতি রয়েছে। অনেক সরকারি কর্তৃপক্ষই পরিচয় শনাক্তের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করার কারণ চেহারা পরিবর্তনশীল।
ছবি ছাড়াই নাগরিকত্ব পাওয়া সাংবিধানিক ও মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত বলে বক্তব্য দাবি করেন। কাউকে চেহারা দেখানো বা না দেখানো একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। এ ছাড়া ছবির অপব্যবহার ঝুঁকি রয়েছে।
পর্দানশিন নারীরা বলেন, গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার। পর্দানশিন নারীরা এখন ১৬ বছরের বৈষম্যের সমাপ্তি চান।
তারা মূলত তিনটি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো, যেসব ইসি কর্মকর্তা ১৬ বছর পর্দানশিন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছে তাদের বিচার, পর্দানশিন নারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রেখে ছবি ছাড়াই ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার ক্ষেত্রে নারী কর্মীদের ব্যবহার করা।