শনিবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিরোনাম: এন্ডোসকপির পর খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ বন্ধ, শাশুড়িকে দেখে মায়ের বাসায় জোবাইদা   আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ: জামায়াত আমির   খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়ার আয়োজন রাষ্ট্রপতির   খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে জার্মানি থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স    বাংলাদেশে এলো তারেক রহমানের বুলেটপ্রুফ গাড়ি, দাম কত?   হেলিকপ্টারে বিমানবন্দর যাবেন খালেদা, মধ্যরাতে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স   নড়াইল-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন মনিরুল ইসলাম   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বেক্সিমকোর ৪০ শতাংশ কর্মীর অস্তিত্ব নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:৩৯ AM

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

বেক্সিমকোর ৪০ হাজার শ্রমিকের যে তথ্য দেয়া হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে তার প্রায় ৪০ শতাংশের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বলা হচ্ছে বেক্সিমকোতে ৪০ হাজার শ্রমিক রয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে আমরা এর প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষের অস্তিত্ব পাইনি। অনেক তথ্য তৈরি করা হচ্ছে উত্তেজনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে।

সেই সঙ্গে বেক্সিমকোর একটি হাউজিং প্রকল্পে আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘আমার বন্ড’ ছেড়ে তোলা চার হাজার কোটি টাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মাত্র তিন মাস আগে তোলা সেই চার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেলো? এটা একটা অবাক করা বিষয়- টাকা কোথায়?

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিমকোর কর্মীদের ব্যাংকঋণ চাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, একটা প্রতিষ্ঠানের যদি সাত হাজার ৫০০ কোটি টাকা চলতি সম্পদ থাকে, তার ৬০ কোটি বেতন দেওয়া তো একটা সেকেন্ডের ব্যাপার।

তিনি বলেন, যে দাবি জানানো হচ্ছিল যে ব্যাংক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না, এলসি খুলে দেওয়া হচ্ছে না- যে প্রতিষ্ঠানের সাত হাজার ৫০০ কোটি টাকা চলতি সম্পদ তার তো এলসি খোলাও লাগে না, আর ব্যাংকের সুবিধারও প্রয়োজন হওয়ার কথা নয়।

তিনি আরও বলেন, আমি প্রথমে জেনেছিলাম যে তাদের ২৩ হাজার কোটি টাকার দায় রয়েছে। পরে জানলাম তাদের প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার দায় রয়েছে। ২৩ হাজার কোটি টাকার দায় ধরে নিয়েই চেষ্টা করেছিলাম যে প্রতিষ্ঠানটা কোনো রকমে যাতে চালু হয়। সরকার খুবই দায়িত্বশীল ছিল এটি চালুর জন্য। কারণ এটা একটা জাতীয় সম্পদ এখানে বহু সংখ্যক শ্রমিক নিয়োজিত।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের রপ্তানি আয়ের একটা প্রাসঙ্গিক বিষয় রয়েছে। তাই সরকার যথেষ্ট উদার ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে এ বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের (বেক্সিমকো) পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র সহযোগিতা পায়নি। তখন সরকার বাধ্য হয়ে এখানে প্রশাসক নিয়োগ করেছে। প্রশাসককে কোনো ধরনের সাহায্য করা হয়নি। বলা হয়েছে, আইনজীবীর নিষেধ আছে কোনো ধরনের তথ্য শেয়ার না করার জন্য।’

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, নিদারুণ সহযোগিতার কারণে যে উচ্চ পর্যায়ের কাউন্সিল কাজ করেছে, তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি বড়ই জটিল বিষয় হিসেবে উপনীত হয়েছিল। এরপর সরকার তার দায়িত্বের জায়গা থেকে প্রতি মাসে ৬০ কোটি টাকা করে বেতন দিয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নেই। এ বিষয়টি অত্যন্ত জটিল ছিল।

তিনি বলেন, মায়ানগরে বেক্সিমকোর একটি হাউজিং প্রকল্প আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে আমার বন্ডে চার হাজার কোটি টাকা তুলেছে। মাত্র তিন মাস আগে। সেই চার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেলো? এটা একটা অবাক করা বিষয়- টাকা কোথায়?

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এই শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ইন্ডাস্ট্রির যারা অংশীজন আছেন তাদের সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমরা চেয়েছি- তারা (বেক্সিমকোর শ্রমিক) যাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আত্তীকরণ হয়ে যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু তারা আইনগতভাবে নিজেদের আলাদা করতে চেয়েছেন, তারা আর ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীবাহিনী নয়, এমন আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে তারা নিতে চেয়েছিলেন। ওই কাঠামো দেওয়ার জন্য উপদেষ্টা পরিষদ এবং বিশাল সরকারি টিম একসঙ্গে নিয়োজিত হয়ে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছিল। এর মধ্যে এমন দুর্যোগপূর্ণ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ফৌজদারি বিধি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ধরনের সম্পদ এবং যে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে, এর মাধ্যমে দেশের শ্রম সমাজকে অসম্মানিত করা হচ্ছে। গার্মেন্ট শিল্পকে সর্বোপরি দেশকে অসম্মান করা হচ্ছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকোর ৭৫০০ কোটি টাকারও বেশি রিটেইনড আর্নিং রয়েছে জানিয়ে বিষয়টির ফরেনসিক অডিট করবেন কি না, একজন সাংবাদিক এমন প্রশ্ন করলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, কিছুই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরে চুরি হয়েছে ঘরই তো নেই। ঘরের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com