প্রকাশ: বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৫০ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই গত ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্রটি ঘোষণা করিনি। যারা এই ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিল। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল ও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিতে হবে।
তিনি বলেন, যেখানে সরকার থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। তাই আমরা এ বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে গিয়েছি। কিন্তু সরকার যেহেতু নিজেই দায়িত্ব নিয়েছে সব রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) কুমিল্লা জেলা শহরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে জনসংযোগ শেষে শহরের টাউন হল মাঠে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে পুলিশ লাইন্স থেকে শুরু, কান্দিরপাড়সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জনসংযোগ করেন।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি বিশ্বাস করে এই প্রোক্লেমেশন অব রেভ্যুলেশন বাস্তবায়ন ও ঘোষণা জাতীয় এবং ঐতিহাসিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের প্রত্যেক শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। আমাদের প্রত্যাশা এই ঘোষণাপত্রে জনমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, হাসিনার নির্ঘুমের কারণ ছিল এই কুমিল্লা। কুমিল্লা থেকে বিরোধী প্রতিধ্বনি সবসময় উচ্চারিত হয়েছে। কুমিল্লা থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই অব্যাহত থাকবে। ২৪ পরবর্তী সময়ে মানুষের যে আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নের কথা বলা হচ্ছে সেটির যাত্রা কুমিল্লা থেকেই শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, ঘোষণাপত্রে অবশ্যই শহীদ ও আহতদের স্বীকৃতি দিতে হবে। ৪৭, ৭১ ও ২৪ এর যে ধারাবাহিকতা সেখানে সুস্পষ্ট তার বর্ণনা থাকতে হবে। আর সেটাতে আমরা কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছি তার বর্ণনা থাকতে হবে। যে রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করেছে, তাদের অংশগ্রহণে স্বীকৃতি সেখানে থাকতে হবে। জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে সে আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই ঘোষণাপত্র থাকতে হবে। আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে ঘুরে বেড়াবো এবং সাধারণ মানুষ যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল তারা এই ঘোষণাপত্রে কী চায় তুলে ধরবো। যাতে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে আর কোনও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া না দিতে পারে।