রবিবার ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৬ মাঘ ১৪৩১

শিরোনাম: নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা   বাণিজ্য মেলা শুরু বুধবার, যা থাকছে এবার   থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো বন্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ   সংবিধান বাতিল না করে সংশোধন করা যেতে পারে   মনমোহন সিংয়ের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা   সোহেল তাজের সঙ্গে বাগদান, পাত্রীর পরিচয়   নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে যা বলছেন সিইসি   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় কবি হেলাল হাফিজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:২১ পিএম আপডেট: ১৪.১২.২০২৪ ৪:৩১ PM

প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজকে রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হলো। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের মূল দরজার বামপাশে বুদ্ধিজীবীদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে সকালে বাংলা একাডেমিতে কবি হেলাল হাফিজের প্রথম নামাজে জানাজা এবং দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা হয়।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে পরীবাগের সুপার হোম নামে হোস্টেলের বাথরুমের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় বরেণ্য এ কবিকে। হোস্টেলের অন্য রুমের সদস্যরা তাকে দরজা ভেঙে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কবি হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

কবি হেলাল হাফিজ ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা খোরশেদ আলী তালুকদার পেশায় ছিলেন স্কুলশিক্ষক আর মা কোকিলা বেগম গৃহিণী।

কবি হেলাল হাফিজ অনেকটা বোহেমিয়ান জীবন কাটালেও সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।

হেলাল হাফিজের লেখালেখির সূচনা ষাটের দশকের উত্তাল সময়ে। তবে প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশিত হয় দেশ স্বাধীন হওয়ারও অনেক পরে, ১৯৮৬ সালে। ২৬ বছর পর ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’। ২০১৯ সালে প্রকাশ পায় কবির আরেকটি কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’।

‘এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’-ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় তার রচিত কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র এ পঙক্তি দুটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যেমন, তেমনি এখনও প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে।

উল্লেখ্য, কবিতায় অসামান্য অবদানের স্মারক হিসেবে হেলাল হাফিজকে ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিনি পেয়েছেন- যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৬), আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭), নেত্রকোনা সাহিত্য পরিষদের কবি খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কার ও সম্মাননা।

আরও পড়ুন

≫ বাংলা একাডেমিতে কবি হেলাল হাফিজের জানাজা সম্পন্ন

≫ কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

≫ হেলাল হাফিজের সেরা কবিতা

≫ প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ নেই



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com