প্রকাশ: রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৪৪ পিএম

বিদ্রোহীদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ আজ সকালে পালিয়ে গেছেন। তবে তিনি ঠিক কোথায় গেছেন তা কেউ বলতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে দেশটির দ্বায়িত্বভার নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
তবে ইতোমধ্যে জানা গেছে, সিরিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ আল জালালির হাতেই থাকছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) গালফ নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
বিদ্রোহীগোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামসের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মেদ আল জোলানি জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত দেশের সব প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের দায়িত্ব জালালির হাতেই থাকবে।
এ ছাড়া সংগঠনের সদস্যদের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম ব্যাহত না করার আহ্বানও জানান তিনি।
এদিকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ‘সহযোগিতাপূর্ণ’ সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ আল জালালি। দেশের জনগণ যে নেতৃত্ব নির্ধারণ করবেন, তার প্রতি সহাবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে এক অডিওবার্তায় জালালি বলেন, ‘সিরিয়া যেকোনো সাধারণ দেশের মতো অভ্যন্তরে ও প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে। তবে এটা নির্ভর করবে সিরিয়ার জনগণ কী ধরণের নেতৃত্বের হাতে ক্ষমতা দিচ্ছেন তার ওপর। তবে ক্ষমতা যার কাছেই আসুক, আমাদের দিক থেকে পূর্ণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে।’
বিদ্রোহীগোষ্ঠী দামেস্ক দখলে নেওয়ার পর শহরজুড়ে হাজার হাজার মানুষ আনন্দ মিছিল করছেন। সিরিয়ার পতাকা হাতে তারা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে আসাদ সরকারের পতন উদযাপন করেছেন।
এদিকে কেউ কেউ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে ফাঁকা গুলিও ছুড়েছেন। তবে এই ঘটনায় আপত্তি জানিয়ে টেলিগ্রামে এক বার্তায় এইচটিএসপ্রধান জোলানি বলেন, ‘কেউ অযথা ফাঁকা গুলি ছুড়বেন না।’
দামেস্কের রেডিও ও টেলিভিশনকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এইচটিএস।
এ ছাড়া কারাগার থেকে সব কয়েদিকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কয়েদিদের মুক্তির মাধ্যমে সিরিয়ায় ন্যায় ও স্বাধীনতার বাণী ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।