সোমবার ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ৬ মাঘ ১৪৩১

শিরোনাম: নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা   বাণিজ্য মেলা শুরু বুধবার, যা থাকছে এবার   থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো বন্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ   সংবিধান বাতিল না করে সংশোধন করা যেতে পারে   মনমোহন সিংয়ের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা   সোহেল তাজের সঙ্গে বাগদান, পাত্রীর পরিচয়   নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে যা বলছেন সিইসি   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বাসর ঘরে মাসিক আয় ৭০ হাজার টাকা!
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:২৭ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ের পাটিয়া ডাংগি বাজারের ছোট্ট এক দোকান এখন সবার কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দোকানটির নাম ‘রফিকুলের বাসর ঘর’। কারণ দোকানটি সাজানো হয়েছে বাসর ঘরের মতো করে। ভিন্ন খাবারে স্বাদ নিতে এই দোকানে আসছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ।

রফিকুলের পরিবেশিত খাবারও তেমনি অনন্য ও ব্যতিক্রমী। এখানে রয়েছে মুড়ি ও বুট দিয়ে তৈরি হয় চিকেন, বুন্দিয়া ও বুট দিয়ে তৈরি চাইনিজ খাবার এবং মুড়ি, বুট ও চানাচুর দিয়ে তৈরি নুডুলস। এই খাবারগুলো নতুন স্বাদ এনে দিয়েছে ভোজনপ্রেমীদের কাছে। দোকানের নামকরণও করেছেন এখানে খেতে আসা ভোজনপ্রেমীরাই।

এছাড়া দুপুরের স্পেশাল মেন্যুতে রয়েছে হাঁসের মাংস, মাছ, মুরগি ও সবজি। খাবারের মান এবং দোকানের পরিবেশ দেখে ঠাকুরগাঁওসহ আশপাশের এলাকা থেকে ভোজনপ্রেমীরা ছুটে আসে এখানে।

এখানে খাবারের দামও সাধ্যের মধ্যে। প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার খাবার বিক্রি হয় বলে জানান রফিকুল। এক বাসর ঘর দিয়েই রফিকুলের মাসে আয় ৭০ হাজার টাকা।

স্থানীয়রা জানান, ‘রফিকুলের বাসর ঘর’ শুধুমাত্র একটি খাবারের দোকান নয়, এটি এক অভিজ্ঞতা। এখানে অনেকে আসেন কৌতূহল নিয়ে, আর ফিরে যান তৃপ্তি নিয়ে। ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষদের জন্য এটি যেন নতুন স্বাদের এক ঠিকানা।


রফিকুলের বাসর ঘর খেতে আসা মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকায় এই হোটেলটি বাসর ঘর নামে পরিচিত। বাসর ঘরের মতো সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজানো। তাই সবাই এটাকে বাসর ঘর বলে ডাকে। এখানকার খাওয়া-দাওয়ার মান অনেক উন্নত এবং অন্যান্য হোটেল থেকে এই হোটেলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অনেক বেশি। সেজন্য এখানে সব সময় আমরা আসি।

বাসর ঘর হোটেলের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার এই হোটেলের নাম বাসর ঘর আমি দেইনি। আমি ফুলকে অনেক ভালোবাসি। তাই ফুল দিয়ে আমার এই হোটেলটি সাজিয়েছি। আর সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি। এজন্য এলাকাবাসী আমার হোটেলের নাম দিয়েছে বাসর ঘর। এখন সবাই বাসর ঘর নামে চেনে। 

তিনি বলেন, অনেক মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এখানে আসে খাওয়ার জন্য। এতে আমার মাসিক আয় ৭০ হাজার টাকার মত। আমার সংসার খুব সুন্দরভাবেই চলতেছে এই বাসর ঘর দিয়ে। বাসর ঘর কথাটা শুনতে একটু অন্যরকম মনে হলেও এলাকাবাসী এটাকে খুব আনন্দ পায়।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com