বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ৯ মাঘ ১৪৩১

শিরোনাম: নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা   বাণিজ্য মেলা শুরু বুধবার, যা থাকছে এবার   থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো বন্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ   সংবিধান বাতিল না করে সংশোধন করা যেতে পারে   মনমোহন সিংয়ের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা   সোহেল তাজের সঙ্গে বাগদান, পাত্রীর পরিচয়   নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে যা বলছেন সিইসি   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
আদানিকে আরও ১৭ কোটি ডলার পরিশোধ করছে বাংলাদেশ
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:১৩ পিএম

ভারতের আদানি পাওয়ারকে আরও ১৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার (২ হাজার কোটি টাকার বেশি) বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে বাংলাদেশ। ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এই অর্থ দেয়া হচ্ছে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) প্রকাশিত ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, বাংলাদেশ গত মাসে ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে। চলতি মাসে আরও ১৭ কোটি ডলার পরিশোধের জন্য একটি ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে।

ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন মতে, আদানি পাওয়ারের বকেয়া শোধ করতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ১৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (২ হাজার ৬১ কোটি টাকার বেশি) একটি ঋণপত্র (এলসি) খুলেছে।

অজ্ঞাত একটি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, ‘এটা পিডিবির পক্ষ থেকে আদানি পাওয়ারকে দেয়া তৃতীয় এলসি। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংকে এই এলসি খোলা হয়েছে।’
 
আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৫ সালে কোম্পানিটির সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদে একটি চুক্তি করে শেখ হাসিনা সরকার। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট রয়েছে। যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট করে।
 
এই দুটি ইউনিটের পুরো বিদ্যুৎ অর্থাৎ ১৬০০ মেগাওয়াটই আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে রফতানি করে। আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করে।
 
তবে সম্প্রতি সেই বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। গত বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর আগেই কয়লার দাম নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। কয়লার চড়া দাম দিতে অস্বীকৃতি জানায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
 
এরপর দাম কমাতে রাজি হয় আদানি। পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে কম দামে কয়লা সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দেয় তারা। তবে এক বছর পর এখন আবারও বাড়তি দাম চাইছে আদানি।
 
জানা গেছে, গত জুলাই থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম পায়রার তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি ধরে বিল করছে আদানি। আবার বকেয়া বিলের ওপর ১৫ শতাংশ হারে সুদ ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি বকেয়া বিল পরিশোধে বাংলাদেশকে নিয়মিত চাপ দিচ্ছে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে আদানি।
 
এরপর বকেয়া পরিশোধে নতুন করে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় আদানি কর্তৃপক্ষ। তা না হলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয়। যদিও বকেয়া বিলের পরিমাণে গড়মিল রয়েছে। 
 
কয়লার বাড়তি দর ও বকেয়া বিলের সুদ ধরে আদানির হিসাবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে পাওনা জমেছে ৮৫ কোটি (৮৫০ মিলিয়ন) ডলার বা ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
 
তবে পিডিবি বলছে, আদানির বকেয়া বিলের পরিমাণ ৭০ কোটি ডলার বা আট হাজার ৪০০ কোটি টাকা। বকেয়া বিলের বড় অংশই শেখ হাসিনা সরকারের রেখে যাওয়া। আগের সরকার প্রায় ৮০ কোটি ডলার বকেয়া রেখে গিয়েছিল।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com