শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শিরোনাম: নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা   বাণিজ্য মেলা শুরু বুধবার, যা থাকছে এবার   থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো বন্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ   সংবিধান বাতিল না করে সংশোধন করা যেতে পারে   মনমোহন সিংয়ের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা   সোহেল তাজের সঙ্গে বাগদান, পাত্রীর পরিচয়   নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে যা বলছেন সিইসি   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি-মহাসচিব নির্বাচিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০৬ পিএম

খুলনা জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং কুষ্টিয়া জেলার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। 

দীর্ঘ ২৫ বছর পর ভোটের মাধ্যমে এসোসিয়েশনের ৪৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটি বেছে নিলেন বিচারকরা।

এসোসিয়েশনের নেতারা জানান, এই নির্বাচনে অনলাইনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার ছিলেন ৬৪ জেলার ২হাজার ১৮৫ বিচারক। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২ হাজার ৩৫ জন বিচারক। উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।

এই নির্বাচনের সভাপতি, মহাসচিবসহ এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির ১৬টি পদে মোট ৪৫ জন বিচারক নির্বাচিত হয়েছেন। 

বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সম্মেলনকক্ষে অনলাইনে ভোট গ্রহণ কার্যক্রমটি পুরো সময় লাইভ দেখানো হয়। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের অর্ন্তবর্তী নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. জাকির হোসেন গালিব, মহাসচিব মোহাম্মদ ফারুক ও বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. সাব্বির ফয়েজ ভোটদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।  

জানা গেছে, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এই সংগঠনকে ক্ষুক্ষিগত করে রাখে একটি মহাল। ঘুরে ফিরে নেতৃত্ব থাকে ওিই সিন্ডিকেটের হাতে। ফলে দীর্ঘদিন এসোসিয়েশনের কোন নির্বাচন হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ ছিলো অধস্তন আদালতের বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকরা। অবশেষে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটে। ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তৎকালীন সরকার ঘনিষ্ঠ যেসব বিচারক দীর্ঘদিন ধরে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবসহ বিভিন্ন পদ দখলে রেখেছিলেন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে পর তারা পদত্যাগ করেন। অবশেষে পরিষ্কার হয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ। এরপর গঠন করা হয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। 

বিচারকরা বলছেন, এই সংগঠনকে অতীতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ অধস্তন আদালতের যেসব বিচারক রায় বা আদেশ দিয়ে অন্যায় আচরণের শিকার হয়েছেন তার বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য বা বিবৃতিও দেয়নি সংগঠনের তৎকালীন নেতারা। ফলে বিচারকদের মনে এক ধরনের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে সেই ক্ষোভ কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম, বিচারক। কমিশনার ছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাসরিন জাহান, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান ও নাটোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শানু আকন্দ।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: vorerpata24@gmail.com বার্তা ইমেইল:news@dailyvorerpata.com বিজ্ঞাপন ইমেইল:vpgmad@gmail.com