প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:২৩ পিএম

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা যেকোনো সময় রাষ্ট্রের বড় দায়িত্ব পেতে পারেন বলে বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিদেশ গমনের পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন আপিল বিভাগের তৎকালীন এই জ্যেষ্ঠ বিচারক।
তবে সে দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র আড়াই মাস পর ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ওইদিনই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারকের পদ থেকে ওয়াহহাব মিঞা পদত্যাগ করেন।
ওয়াহহাব মিঞা ১৯৭৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবীর তালিকাভুক্ত হন। এরপর আওয়ামী লীগ আমলে ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর আপিল বিভাগের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ২০০১ সালের ২৪ অক্টোবর তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক থেকে স্থায়ী বিচারকের দায়িত্ব পান।
পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতির দায়িত্ব পান। ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটি ও পদত্যাগের কারণে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলে আপিল বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের মতে রায় এসেছিল, ওই রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার পক্ষে মত জানিয়েছিলেন বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা। যুদ্ধাপরাধের দায়ে আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় ঘোষণার সময় একমাত্র বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা এতে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন।
নাটকীয়তার মধ্যে বিচারপতি এস কে সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার পর ওই দায়িত্ব পালনের ভার আসে বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞার ওপর। এরপর নভেম্বরে বিচারপতি সিনহার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞাকেই দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলেন রাষ্ট্রপতি।
বিচারপতি সিনহা ছুটিতে যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের এক বিবৃতিতে বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বিচারপতিদের উদ্ধৃত করে বলা হয়, বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসায় তার সঙ্গে কাজ করতে চান না তারা।
বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা দায়িত্ব পালনকালেই অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিচার বিভাগের টানাপড়েনের অবসান হয়। বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি সিনহা অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, সরকার বিচার বিভাগের ওপর কর্তৃত্ব ফলাতে চাচ্ছে।