রোববার ১২ মে ২০২৪ ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোনাম: জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরাই এগিয়ে    বিরোধী দলকে রাজনীতি না করতে দিতেই নতুন করে ট্র্যাইব্যুনাল : ফখরুল    হোয়াইটওয়াশ এড়ালো জিম্বাবুয়ে    এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ    এসএসসির ফল প্রকাশ    জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই    বিশ্ব মা দিবস আজ   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
মসিকে জয়ের পথে টিটু
আব্দুল মান্নান পল্টন,ময়মনসিংহ ব্যুরো,
প্রকাশ: বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪, ৬:২৩ পিএম আপডেট: ০৬.০৩.২০২৪ ১১:৪০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

আর মাত্র তিন দিন পর ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) নির্বাচন। শেষ মহুর্তে চলছে জোরদার প্রচার-প্রচারণা। এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন পাঁচ প্রার্থী। তবে ভোটের মাঠ সরগরম করে রেখেছেন ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী সদ্য সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু সমর্থিত নেতা কর্মীরা। 

জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের অধিকাংশ নেতা কর্মীরাও আটঘাঁট বেধে মাঠে নেমেছেন ইকরামুল হক টিটুর পক্ষে। সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নারী উদ্যোক্তা সংগঠকসহ নগরীর সব শ্রেণী পেশার মানুষ মাঠে নেমেছে টিটুর প্রচারে। ফলে আবারো মেয়র  হতে যাচ্ছেন  ইকামুল হক টিটু, এমনটাই আভাস দিয়েছেন মসিকের সাধারণ  ভোটাররা। উন্নয়নের ধারবাহিকতা রাখতে টিটুতেই আস্থা রাখতে চান ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ ভোটাররা। এছাড়া বিপদে-আপদে সব সময় পাশে থাকার অঙ্গীকার রক্ষা করে গত ৫ বছরে বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকেই সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা করেছেন তিনি। 

মঙ্গলবার ও সোমবার একেধারে দু’দিন নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মেয়র টিটু সমর্থিত নেতা কর্মী সমর্থকদের মিছিল আর মিছিল। শো-ডাউন আর শো-ডাউন। নগরীর সর্বত্রই গণজোয়ার উঠেছে ঘড়ি প্রতিকের প্রার্থী  ইকরামুল হক টিটুর পক্ষে। বিপুল ভোটে বিজয়ের আগাম আভাসে বাধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসও উল্লাস লক্ষ্য করা গেছে টিটু সমর্থিত নেতা কর্মীদের মাঝে। নগরীর ভোটারদের মন্তব্য এবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটে ঘড়ি প্রতীকের জয় হবে। ভোটের রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস রচনা করবেন ময়মনসিংহ মহনগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ঈর্ষণীয় জনপ্রিয় নেতা ইকামুল হক টিটু, এমনটাই বিশ্বাস করেন সাধারণ ভোটাররা। 

ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায় ময়মনসিংহ পৌরসভার কাউন্সিলর থেকে পৌরসভার মেয়র পরে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হয়েছেন টিটু। জীবনে কোন নির্বাচনে পরাজিত হননি টিটু। একাধারে প্রায় দীর্ঘ দুই যুগ জনপ্রতিনিধি থাকায় সব শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে তার গড়ে উঠেছে নিবিড় সম্পর্ক। সারা জীবন মানুষের আপদে, বিপদে, দুর্যোগে, দুর্বিপাকে পাশে থেকে সহয়তা করেছেন। 

করোনাকালীন দুর্যোগের সময় অধিকাংশ নেতা ও বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা সংক্রমণের ভয়ে সাধারণ জনগণ থেকে নিজেদের আড়াল করে রেখেছিলেন। সেই চরম বিপদের সময় মৃত্যুর ভয় উপেক্ষা করে মেয়র ইকরামুল হক টিটু ছিলেন নগরবাসীর পাশে। পায়ে হেঁটে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের প্রতিটি অসহায় অসচ্ছ্বল মানুষের ঘরে গিয়েছেন খোঁজ খবর নিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে কৌশল শিক্ষা দিয়েছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অসহায় কর্মহীণ হয়ে পড়া মানুষদের ঘরে ঘরে  প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নগদ অর্থ পৌছে দিয়েছেন।  নিজে করোনা আক্রান্ত হয়েও দমে যাননি মেয়র টিটু। নিজের আরাম আয়েস বিসর্জন দিয়ে দিবা রাত্রী নগরবাসীর সেবায় নিয়জিত  রেখেছেন। মনোবল ভেঙ্গে পড়া মানুষদের সাহস যুগিয়েছেন। নগরবাসীকে কথা দিয়েছেন একটি মানুষও চিকিৎসা ও খাদ্যর জন্য কষ্ট করবেনা। সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দিবারাত্রী মানুষক সহায়তা প্রদান করেছেন। ব্যক্তিগত সহায়তা সার্বক্ষনিক চালু রেখেছেন। কোন মানুষ মেয়র টিটুর কাছে গিয়ে সহায়তা চেয়ে পাননি এমন নজির নেই।

গরিব দুঃখী শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে প্রতিটি পরিবারের শিশুদের খাতনা জন্মদিন ও বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সবার দাওয়াতে অংশগ্রহণ করেছেন। সকল ধর্মের ধর্মীয় কাজে ও উৎসবে যেখানে যা প্রয়োজন তাই দিয়েছেন। কর্মগুনে আলো ছড়িয়েছেন। নগরবাসীর মন জয় করেছেন। সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও মানব প্রেমের বদৌলতে জনপ্রিয় থেকে আকাশসম জনপ্রিয়তা বাজিমাত করেছেন অক্লান্ত পরিশ্রমী ও  সাদা মনের মানুষ ইকরামুল হক টিটু। 

নগরীর খাতেই ব্যপক উন্নয়নমুলক কাজ করেছেন। অনেকটাই বদলে দিয়েছেন ময়মনসিংহ শহরের চালচিত্র। পাশাপাশি অবৈধভাবে দখলে থাকা ৩০ কিলোমিটার খাল উদ্ধার করেও দুরদর্শী ভুমিকা রেখেছেন। নগরীর জলবদ্ধতা নিরসনে সময়োপোযোগী সমাধানের উদ্যোগ নিয়েও প্রশংসিত হয়েছেন।  

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ভোরের পাতাকে বলেন, কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্টি হওয়া অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেও টিটু নগরীর আমুল উন্নয়ন মুলক কাজ করেছেন। মানুষের সেবা করেছেন। নগরবাসী তাকে অনেক ভালবাসেন। ময়মনসিংহ নগরীকে ডিজিটাল স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে মেয়র হিসেবে টিটুকেই প্রয়োজন।  



নগরীর নতুন বাজার এলাকার বাসীন্দা মীর কায়েস বলেন সুসময়ে নেতার অভাব হয়না। কিন্তু  আপদে বিপদে ও অসময়ে মেয়র টিটু ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়না। মেয়র টিটু ময়মনসিংহ আওয়ামীলীগের অদ্বিতীয় নেতা। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় মেয়র টিটুর মত নেতার খুবই প্রয়োজন।

নগরীর ২নং ওয়ার্ডের বাসীন্দা অ্যাডভোকেট রুহুল আমীন, ১০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিক্ষক আব্দুছ ছামাদ বলেন সারা জীবন ইকরামুল হক টিটু মানুষের জন্য করেছেন। এ ছাড়াও করোনাকালে মৃত্যর ভয় উপেক্ষা করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসভবন,পরিবার পরিজন ত্যাগ করে অসহায় মানুষদের সাথেই সময় কাটিয়েছেন মানবিক নেতা মেয়র টিটু। আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বচনে মেয়র টিটু তার কর্মগুনের ফল পাবে ইনশাল্লাহ।

ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু ভোরের পাতাকে বলেন, আমি আমার অবস্থান থেকে সার্বক্ষণিকভাবে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে কাজ করেছি। মেয়র হিসেবে নগরবাসীর সকল সেবা সুনিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য মেনেই কাজ করেছি। একটি দিনের জন্যও নগরবাসী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকিনি। করোনাকালে সকল কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা ছিল অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তবে ময়মনসিংহ নগরীকে একটি সমৃদ্ধ নগর করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক দুটি সংকট আমাদের কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্টি হওয়া অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আমরা তেমনভাবে আমাদের কাজগুলো করতে পারিনি। আমরা যদি স্বাভাবিক গতিতে কাজ করতে পারতাম তাহলে আমাদের এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে আরও বহুদূর আমরা এগিয়ে যেতে পারতাম। তবে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অনেক কাজই গুছিয়ে এনেছি। এরই মধ্যে ৩৫৮ কিলোমিটার সড়ক ও ২৪৯ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করেছি। পাশাপশি নগরকে আলোকিত ১৭১ কিলোমিটার সড়কে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক এলইডি সড়কবাতি। জলাবদ্ধতা নিরসনে অব্যাহত অভিযানে ১৬ কিলোমিটার খাল ইতোমধ্যে দখলমুক্ত করা হয়েছে। অসমাপ্ত কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে ও লন্ডন সিঙ্গাপুর সিটির আদলে ময়মনসিংহ শহর গড়ে তুলতে আমার বিশ্বাস জনগণ আমাকেই ভোট দিবে।

এদিকে, ময়মনসিংহ সিটি কর্মেপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৬জন,  ৩৩ টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪২৮জন।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]