রোববার ১২ মে ২০২৪ ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোনাম: বিরোধী দলকে রাজনীতি না করতে দিতেই নতুন করে ট্র্যাইব্যুনাল : ফখরুল    হোয়াইটওয়াশ এড়ালো জিম্বাবুয়ে    এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ    এসএসসির ফল প্রকাশ    জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই    বিশ্ব মা দিবস আজ    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
লালমনিরহাটে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন কারখানার সন্ধান!
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩, ৯:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

লালমনিরহাটে পরিবেশ অধিদপ্তর নেই, নেই পরিবেশ আদালতের অভিযানের ভয়। এ সুযোগে জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের ২নং দুরাকুটি বিশবাড়ী গ্রামের আঃ সালাম গড়ে তুলেছেন নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। 
 
একটি বিশ্বস্ত সুত্র জানান, এক সময়ে লালমনিরহাট শহরের খুচরা নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রেতা আব্দুস সালাম আজ গ্রামের ভেতর নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা দিয়ে জমজমাট ভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন করছেন। তার অন্যতম সহযোগী খুচরা পলিথিন বিক্রেতা বড়মসজিদ মার্কেটের মফিজুল ষ্টোরের মালিক মফিজুল ইসলাম। এরা দু'জনে এক সময় ঢাকা, সৈয়দপুর পলিথিন কারখানা থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন সংগ্রহ করে পুরো লালমনিরহাটে খুচরা পলিথিন বিক্রি করেছিলেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রিতে তাদের কপাল খুলে যায়। আজ আঃ সালাম সেই নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন কারখানার মালিক। আর মফিজুল ইসলাম পৌর শহরে জমি কিনে বানিয়েছেন বড় বাড়ি। বনে গেছেন লাখ লাখ টাকা মালিকও। 

আঃ সালামের গ্রামের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের ভেতর নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানায় ৪/৫ জন কর্মচারী পচনশীল ক্যামিক্যাল ছাড়াই দিন-রাত, ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন করছেন। সেখান থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগগুলো রেলবাজারের আব্দুস সালাম ও বড়মসজিদ মার্কেটের মফিজুল ইসলামের দোকান ও গোডাউনে ঘরে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। তাদের দোকান ঘরের পাশে গোডাউন ঘরও রয়েছে। সেই দোকান ঘর আর গোডাউন ঘরে সারি সারি ভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন রেখে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন মনকা মন খুচরা ও পাইকারী দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এমনকি দুরদুরান্তে নিষিদ্ধ পলিথিন অর্ডার নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আদান প্রদান করছেন। এরা সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স কিছুই দেন না। কাস্টমস, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর, পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ফাঁকি দিয়ে মানকা মন নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করছেন। 

খুচরা পলিথি ক্রেতা ও গলামাল ব্যবসায়ী জানান, দশ টাকার খরচ থেকে এক হাজার টাকার খরচ পর্যন্ত এ পলিথি ব্যবহার করা হচ্ছে। দিন দিন লালমনিরহাটে পলিথিনের চাহিদা বাড়ছে। সালাম ও মফিজুলের কারণে শহরে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না।

আর এ বিষয়ে পরিবেশবীদরা বলছেন, পরিবেশ রক্ষায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনা জরুরী হয়ে পড়েছে। তাই ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা উচিত বলে মনে করেন সচেতন মহল।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]