প্রকাশ: বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩, ৯:৪০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার স্কটিশ পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহের লড়াই শেষে ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নির্বাচিত হয়েছেন হামজা ইউসুফ। তিনি নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন।
এডিনবরায় দেয়া আবেগঘন বিজয়ী ভাষণে স্কটল্যান্ডের জন্য তার প্রবল আবেগ রয়েছে জানিয়ে স্বাধীনতাপন্থী দলটির নতুন এ নেতা বলেন, স্কটল্যান্ডের জনগণের স্বাধীনতা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন।
নিকোলা স্টার্জেনের উত্তরসূরি হিসেবে এসএনপির নেতৃত্ব দেবেন ইউসুফ। ৮ বছর দল এবং স্কটল্যান্ডের আধা-স্বায়ত্তশাসিত সরকারের নেতৃত্ব দেয়ার পর গত মাসে আকস্মিক পদত্যাগ করেন নিকোলা স্টার্জেন।
হামজা ইউসুফের জন্ম স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে। পড়ালেখা করেছেন গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজনীতি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন তিনি। এরপর ২০১১ সালে স্কটল্যান্ড পার্লামেন্টের সদস্য (এমএসপি) নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি একজন এমএসপি'র সহযোগী হিসেবেও কাজ করেছেন।
ইউসুফের বাবা পাকিস্তানের নাগরিক। ১৯৬০ এর দশকে তিনি স্কটল্যান্ডে পাড়ি জমান। অন্যদিকে, তার মা কেনিয়াতে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
ইউসুফ বর্তমানে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করছেন। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এছাড়া, একজন সৎ কন্যাও রয়েছে নতুন এই দলনেতার।
ইউসুফ মনে করেন, স্বাধীন স্কটল্যান্ডে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আসুন, প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যেই আমরা বিবেচনা করি, আমাদের রাজতন্ত্রের চেয়ে একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া যৌক্তিক কি-না।
২০১২ সালে স্কটিশ সরকারের একজন জুনিয়র মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন ইউসুফ। সেই সময়ে স্কটল্যান্ডে নিযুক্ত হওয়া সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম জাতিগত সংখ্যালঘু মুসলিম মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালে বিচার বিষয়ক সচিব (সেক্রেটারি ফর জাস্টিস) হয়ে মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এবং ২০২১ সালের মে মাসে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হন।