মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ বাংলাদেশির পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শাহীদুল ইসলাম; কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়া ও রাসেল মোল্লা; নোয়াখালীর মো. হেলাল; লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন; কক্সবাজারের মো. আসিফ ও মোহাম্মদ হোসেন; গাজীপুরের টঙ্গীর মো. ইমাম হোসাইন রনি; চাঁদপুরের রুকু মিয়া; কক্সবাজার মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার গিয়াস হামিদ, যশোরের মোহাম্মদ নাজমুল ও রনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, বিদেশি ১২ যাত্রীদের মধ্যে ৫ জনকে মৃত এবং ৭ জনকে আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশিরা হচ্ছেন- চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের সালাহউদ্দিন, ভোলার আল আমিন ও বুরহান উদ্দিন, লক্ষীপুরের মিনহাজ ও রিয়াজ, চাঁদপুর কচুয়ার জুয়েল, মাগুরার আফ্রিদি মোল্লা ও মিজানুর রহমান, নোয়াখালীর মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কুমিল্লার ইয়ার হোসাইন ও জাহিদুল ইসলাম ও যশোরের মোশাররফ হোসাইন। এ ছাড়া চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন আব্দুল হাই, রানা, সেলিম, দেলোয়ার হোসাইন, হোসাইন আলী ও কুদ্দস।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন জানান, আহত ১৮ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া মোট মৃতের সংখ্যা ২২ জন বলে সৌদি আরব থেকে জানা গেছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, খাদে পড়ে যাওয়ার কারণে মৃতদেহগুলোর চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। ফলে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করতে সমস্যা হচ্ছে।