#পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিরতা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। #শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা থেকে উত্তরণের উপায় খোঁজা জরুরি: উৎপল দাস।
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩, ১১:১৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমাদের দেশের শিক্ষাঙ্গন অস্থিরতা ও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং সর্বশেষ সাভারের আশুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেসরকারি ড্যাফোডিল ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীদের সাথে এলাকাবাসীর দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষাঙ্গনে এই ধরনের অস্থিরতার পেছনে কোন নেপথ্য শক্তি কাজ করছে কিনা সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১০০৬তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষাঙ্গন অস্থিরতা ও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং সর্বশেষ সাভারের আশুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেসরকারি ড্যাফোডিল ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীদের সাথে এলাকাবাসীর দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তার ফলশ্রুতিতে আজকে সেখানে সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এইযে সংঘর্ষের ঘটনা এটা কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে থেমে থাকেনি এটা এখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এটাই এখন উদ্বিগ্ন হবার অন্যতম কারণ। আমরা জানি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সবসময় অন্যরকম পরিবেশ বজায় থাকে। তারা সচারচর কোন ধরণের মারামারির সাথে জরায় না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও তাদের শিক্ষার্থীরা সব সময় তাদের যে লক্ষ্য সেটা মাথায় রেখেই এগিয়ে যায় এবং যেকোনো মূল্যে এই ধরণের কোন ঘটনা ঘটলে সেটা এড়িয়ে চলে। কিন্তু ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের সাথে লেগুনার ধাক্কা লাগে। বাকবিতন্ডতার এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীকে মারধর করে লেগুনা ও স্থানীয় লোকজন। পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তারা ক্যাম্পাস থেকে একত্রিত হয়ে হাজার খানেক শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে স্থানীয় ও লেগুনার লোকজনকে মারধর করে। এটা কিন্তু কোন শুভ বিষয় নয়। এই বছরটি আমাদের জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কাল সময়। সুতরাং আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে।
উৎপল দাস বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিশেষ করে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টি সমাধান হওয়ার পরেও আমরা দেখছি যে সেখানকার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখার মতো ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের যে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। এরফলে সেখানে অন্যান্য ধরণের বেশকিছু অপকর্ম হচ্ছে। শিক্ষাঙ্গনে এইধরনের অস্থিরতার পেছনে কোন নেপথ্য শক্তি কাজ করছে কিনা সেটা খুঁজে বের করতে হবে।