সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, "রাজাকারের বাচ্চাদের সাহস দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। পাকিস্তানের দালাল নুরুল হক নূরের আস্তানা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে এদের সবাইকে ধরে ধরে পাকিস্তানে পাঠাতে হবে। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। মুসলিমদের হত্যাকারী ইসরায়েলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথে এধরনের রাষ্ট্রদ্রোহী বৈঠকের পরেও নুরকে এখনো কেন ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করে দেশে আনা হচ্ছে না? দেশের সংবিধান ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার অপরাধে নুরুল হক নূরকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে গ্রেফতার না করলে নূরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"
সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার বলেন, "বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখনো বেঁচে আছেন। অস্ত্র জমা দিয়েছি কিন্তু ট্রেনিং জমা দেয়নি। নুর তুমি সাবধান হয়ে যাও। বীর মুক্তিযোদ্ধারা রাস্তায় নামলে তুমি পালানোর পথ খুঁজে পাবেনা। গণতন্ত্র মঞ্চ নামে ইহুদি মোসাদের পেইড এজেন্টদের প্রত্যেককে ধরে ধরে ইসরায়েলে পাঠিয়ে দেয়া হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র করলে আমরা কখনোই ঘরে বসে থাকবো না। প্রয়োজনে আবার যুদ্ধ করে রাজাকারের বংশধরদের নির্মূল করবো। আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট দাবি, দেশ ও জাতির স্বার্থে নূরকে দ্রুত গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।"
বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল বলেন, "নুরা গংদের মধ্যে নূন্যতম দেশপ্রেম নাই। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। মুসলিম হত্যাকারী ইসরায়েলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে নুর তার ইসলাম বিরোধী চরিত্র জাতির সামনে উন্মোচিত করেছে। বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস সংকট ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের প্রতিটি দেশ সাময়িক সমস্যায় পড়েছে। বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই এই সাময়িক সমস্যা কেটে উঠবে। সেই সাময়িক সংকটকে পুঁজি করে নুর গংরা প্রতিনিয়ত গুজব ছড়িয়ে দেশে ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এদের থাকার কোন নৈতিক অধিকার নেই।
ইহুদি শক্তির ওপর ভর করে এরা অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে চায়। কারণ বিএনপি ও বিকাশ অধিকার পরিষদের নেতারা এখন সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন। এলাকায় এদের ইউপি মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা নেই। এদের ধান্দাবাজি ও প্রতারণা জনগণ ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এরা এদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধি ব্যাহত করার জন্য এরা একের পর এক রাষ্ট্র বিরোধী গোপন বৈঠক, মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরীর চেষ্টা চালাচ্ছে। এদেরকে জনগণ অবশ্যই রুখে দিবে। কারণ এদেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন। নুরা পাগলাকে গ্রেফতার না করলে বিমানবন্দরে ওকে আমরা প্রতিহত করে ইসরায়েলে পাঠাবো।"
সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য বলেন, "বিকাশ অধিকার পরিষদের নেতা নুরা পাগলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করেছিল। ধান্দাবাজি করাই এদের মূল উদ্দেশ্য। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন নুর গংদের ঘৃণার চোখে দেখে। বাংলাদেশের তথাকথিত ইসলামি দলগুলো এখন কোথায়? দুবাইয়ে ইসরায়েলের সাথে নুরের গোপন বৈঠক নিয়ে এরা এখন কেন কথা বলছে না। কারণ এরাও ইসরায়েলের দালাল। এরা মুসলিমদের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে ব্যবসা করে। প্রশাসনের কাজটা কি? মুসলিমদের হত্যাকারী ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের মেন্দি এন সাফাদির সাথে বাংলাদেশ বিরোধী গোপন বৈঠক, রাষ্ট্র প্রধান ও সরকার প্রধানের বাড়ি দখলের হুমকি দেয়ার পরেও এখনো নূরকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? প্রশাসনকে অবশ্যই তাদের অবস্থান জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র বরদাশত করবে না বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"