প্রকাশ: বুধবার, ২৫ মে, ২০২২, ১১:০৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ
অনলাইনে ওষুধ বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে একটি ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে আশুলিয়ার জামগড়ায় অবস্থিত স্বাধীন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাজু মিয়া নামে এক ভুক্তভোগী।
তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই সুব্রত রায়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মাদারীপুর সদর থানার পাঁচখোলা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে ইলিয়াস মৃধা (৩৬)। তিনি প্রতিষ্ঠািটির স্বত্বাধিকারী। অন্যজন হলেন ঝালকাঠি সদর থানার দক্ষিণ মানকশা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (৩২)। তিনি প্রতিষ্ঠানটির ডিলার ছিলেন। এ ঘটনায় লুৎফর রহমান নামে আরও একজন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী সাজু মিয়া বলেন, একজনের মাধ্যমে তাদের এখানে কয়েক ধাপে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করি। তারা বলেছিলেন অনলাইনে তারা ওষুধ বিক্রি করেন। তাদের একটি ওয়েবসাইট আছে। একটি আইডি নম্বরও খুলে দেন। লাভের একটি অংশ প্রতিদিন আমার সেই অনলাইন আইডিতে জমা হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন পরে কোনো টাকা পয়সা দেয় না। তালবাহানা শুরু করে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তারা অনলাইনে কোনো ব্যবসা করে না। অনলাইন সাইট খুলে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে। টাকা চাইতে গেল উল্টো হুমকি-ধমকি দেয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
আমার এখানে প্রায় ৬০০ জন এভাবে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। একটি আইডির বিপরীতে ন্যূনতম ১৫০০ টাকা দিতে হয়। একেকজনের কাছ থেকে ন্যূনতম ১০ হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত তারা হাতিয়ে নিয়েছে।
পুলিশ জনায়, এখন পর্যন্ত ২৪ জন ভুক্তভোগীর সন্ধান পেয়েছি। যাদের কাছ থেকে প্রায় ৩৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, এখানে ৬০০ জন বিনিয়োগকারী রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে চক্রটি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই সুব্রত রায় বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে মঙ্গলবার রাতে দুজনকে আটক করি। পরে প্রতারণায় মামলা তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানতে পারেছি এটি প্রতারক চক্র। টাকা হাতিয়ে নিতে অনলাইনের ব্যবসার ফাঁদ পেতেছিল। তারা এখানে গত দুই বছর আগে প্রতিষ্ঠান চালু করেছিল। নতুন করে পাশের উপজেলা ধামরাইয়েও অফিস খোলার পরিকল্পনা করছিল। এখানে চক্রের তিনজনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্তের বেরিয়ে আসবে।