মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মাহাবুব শাহ্’র অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য বন্ধ হয়নি। এতে প্রায় দীর্ঘ এক কিলোমিটার ফসলী জমির ওপর দিয়ে যত্রতত্রভাবে ড্রেজার পাইপলাইন টানার ফলে স্থানীয় কৃষকরা ধানি জমি পরিচর্যা কাজে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এনিয়ে গত ১৭ মার্চ ড্রেজারটির বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২২ মার্চ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ওই এলাকায় পরির্দশনে গিয়ে প্রায় ১০/১২টি পাইপ অপসারণ করেন ও বাকী ড্রেজার পাইপ সংশ্লিষ্ট ড্রেজার ব্যবসায়ীকে খুলে ফেলার নির্দেশ দেন। অথচ এ নির্দেশ অমান্য করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পরের দিনই ইউপি সদস্য পুনরায় পাইপ সংযুক্ত করে ড্রেজার বাণিজ্য বহাল রাখার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। এতে প্রভাবশালী ড্রেজার সিন্ডিকেটটির ভয়ে ভুক্তভোগীরা বাকরুদ্ধ হয়ে পরেন। রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ইউপি সদস্যর ড্রেজারটি অপসারণের জন্য আবেদনপত্র জমা দেন ভুক্তভোগী। স্থানীয়দের তথ্য মতে,স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার কারনে আজ এই ঝগড়া মারামারি ড্রেজার নিয়ে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যক্তি প্রভাবশালী ব্যক্তির বরাত দিয়ে বলেন, একজনের কারসাজিতে পুরো কোলাপাড়ার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে তিনি ঝামেলা বাঁধায় রাখে,সাংবাদিকরা নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন তার নাম প্রকাশ করলে আমরা এলাকায় থাকতে পারুম না, কারন তার ডানে বামে মাদক সেবন ও কারবারীরা ঘোরে ফিরে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলাপাড়া ২নং ওয়ার্ডের ক্বারীবাড়ি ও ডাক্তার বাড়ি সংলগ্ন কৃষিজমি মাটি ভরাটে কাজ করা হচ্ছে। জানা যায়, মেম্বার মাহাবুব শাহ’র ড্রেজারটি সাবেক যুবলীগ নেতা ও গেলো কোলাপাড়া ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান জনেট ড্রেজারটি পরিচালনা করছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান জনেটের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ড্রেজার বন্ধ রাখার এখতিয়ার নেই ভূমি কর্মকর্তার।
ড্রেজার ব্যবসায়ী ৫নং ইউপি সদস্য মাহাবুব শাহ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২নং ওয়ার্ড আমার না। ঐ ড্রেজারের বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার বলতে পারবেন বলে এড়িয়ে যান।
২নং ওয়ার্ড সদস্য মাহাবুব মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ড্রেজারের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমি এসব অবৈধ ব্যবসার সাথে নেই।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, প্রায় সাত দিন আগে ড্রেজারটি আমি বন্ধ করে দিয়েছি। এখন আবার শুরু করেছে আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণব কুমার ঘোষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোলাপাড়ায় একটি ড্রেজারের বিষয়ে ১ টি আবেদন পেয়েছি। তবে ১ টি নয় আমার জানামতে পুরো উপজেলায় ৫০ টির মত ড্রেজার আছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আপনার এলাকায় ও ৭-৮টির মত ড্রেজার রয়েছে।