সবশেষে বাংলাদশ জাতীয় পার্টি- বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমানের নেতৃত্বে ০৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেয়। প্রতিনিধিদল ৪ দফা প্রস্তাব দেন। তারা নির্বাচনী আইন প্রণয়ন, আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন ও সামরিক বাহিনীকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহযোগী শক্তি হিসেবে সম্পৃক্তকরণের প্রস্তাব দেন।
রাষ্ট্রপতি প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রে নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও সুপারিশ ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনীতিতে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকেই উদ্যোগী হতে হবে। এছাড়া ত্যাগী ও সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হতে পারে সে জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আবেদীন বলেন, রাষ্ট্রপতি একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য ইসি গঠনের বিষয়ে সংলাপের জন্য ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ৩২টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের প্রথম দিন ২০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের (সংসদ) প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন তিনি।
এর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আজকের সংলাপে অংশ নেয়নি। এ নিয়ে মোট সাতটি রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকেন।
আগামী ১৭ জানুয়ারি (সোমবার) বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংলাপের কথা রয়েছে।
এর আগে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।