নতুন নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে নির্দেশনা চান। অথচ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের অথরিটি হলো রাষ্ট্রপতির উপর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রথম চয়েজ তো নূরুল হুদার মতো লোক। যে ব্যক্তিটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচাইতে অপরিচ্ছন্ন নির্বাচন করেছে। তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যে যে প্রার্থিতা ঘোষণা করতে বলা হয় নির্বাচন কমিশন সেসব প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যদি নতুন নির্বাচন কমিশনার ঘোষণার নির্দেশ দেয়া হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী এই নূরুল হুদাকেই পছন্দ করবেন। আর যদি সে আবার নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পায় তাহলে নির্বাচন আরো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে বলেন জানান রিজভী।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দুর্নীতি হচ্ছে এমন দাবি করে রিজভী বলেন, এতই যদি উন্নয়ন হয়ে থাকে তাহলে কেন দেশ-বিদেশের মিডিয়াতে বলা হচ্ছে, গত কয়েক বছরে ১১ হাজার লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশের বাইরে বিভিন্ন স্থানে সুন্দর সুন্দর কটেজ কিনেছে। ভারতের কেরালাতে, কানাডার বেগম পাড়াসহ আরো বিভিন্ন জায়গায় তারা কটেজ কিনেছে। সেই টাকাগুলো হলো দেশের ব্রিজ তৈরি ও অন্যান্য উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা।
করোনা নিয়ে কে কী সমালোচনা করলো আমি তার পরোয়া করি না- স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরোয়া করবেন কেন? তার তো ভোটের দরকার হয় না। তার তো নির্বাচনের দরকার হয় না। তাদের শুধু প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভালো থাকলেই সবকিছু ঠিক থাকবে। আপনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় মিডিয়াগুলোতে দেখা গেছে করোনায় ২৭ হাজার লোক মারা গেছে। এই ২৭ হাজার লোকের মৃত্যু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপহার।
ভোরের পাতা/কে