প্রকাশ: সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১, ১১:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পৃথিবীতে রাজনৈতিক কারণে বহু হত্যাকাণ্ড হয়েছে। কিন্তু ১৫ আগস্টের মতো হত্যাকাণ্ড পৃথিবীতে আর কোথাও ঘটেনি। ইন্দোনেশিয়ার জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল এছাড়া আর কাউকে হত্যা করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে বিচারের পথ রুদ্ধ করে আরেক কলঙ্কিত ইতিহাস রচনা করেছিল। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কলঙ্কিত সেই অধ্যাদেশ বাতিল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু হয়। আজ সব চক্রান্ত, সব ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে অদম্য গতিতে; বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে উদার-অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বমঞ্চে সম্মানের আসনে আসীন হয়েছে বাংলাদেশ।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪১৯তম পর্বে সোমবার (২ আগস্ট) আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাবেক সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, আগস্ট মাস আমাদের শোকের মাস। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালকে। আজকের এইদিনে দাঁড়িয়ে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সেদিন নিহত সকল শহীদের প্রতি। ১৯৭৫ থেকে আজ ২০২১ পর্যন্ত আমাদের অনেক দিন চলে গিয়েছে। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা। তারা ছিল পাকিস্তানের দোসর, তাই তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। সারাজীবন পাকিস্তানের পক্ষে দালালি করেছে। যারা ধর্মান্ধ ছিল, সাম্প্রদায়িকতার বিষ যাদের মধ্যে ছিল তারাই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। আমরা সকলে জানি পঁচাত্তরে সেই পরাজিত শক্তির পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের পেছনে থেকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে বাঙালি জাতি। সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর বড় সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ও ছোট বোন শেখ রেহানা শেখ হাসিনার স্বামী প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থল জার্মানিতে থাকায় বেঁচে যান। এই আগস্টেই ঘটেছিল জাতির ইতিহাসের আরও একটি বিয়োগান্তুক ঘটনা। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানী ঢাকার বুকে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাবেশে চালানো হয় নজিরবিহীন হত্যাযজ্ঞ। গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। হামলার ধরন ও লক্ষ্যস্থল থেকে এটা স্পষ্ট যে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই ছিল ওই গ্রেনেড হামলা ও গুলিবর্ষণের উদ্দেশ্য। ওই গ্রেনেড হামলা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও ঝরে গিয়েছিল মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা আইভি রহমানসহ ২৪টি তাজা প্রাণ। আজ সব চক্রান্ত, সব ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে অদম্য গতিতে; বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে উদার-অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বমঞ্চে সম্মানের আসনে আসীন হয়েছে বাংলাদেশ। আজকের এইদিনে এটুকুই বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘বিশ্ব আজ দুইভাগে বিভক্ত- একদল শোষক, আরেক দল শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।’ আজ তারই যোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি আছে তিনি বলেছেন, আমি জনগণের শাসক নই, সেবক হতে চাই। তাই আজকের এদিনে আমি প্রত্যাশা করছি আমরা যারা এই দলের নেতাকর্মীরা আছি তারা যদি দেশের এই দুর্দিনে জনগণের পাশে থেকে সেবা করতে পারি তবেই বঙ্গবন্ধুর আত্তা শান্তি পাবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে যাবো।
ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন- বিএনপির উদ্দেশ্যে নানক
ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নেতাকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টা!
আওয়ামী লীগ কারও দয়াদাক্ষিণ্যে ক্ষমতায় আসেনি : নানক
দুই সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কে আসামী করা হলো ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা মামলায়
সমীকরণে ছিটকে গেছে লখনৌ-দিল্লি, রইলো যারা.....
তালতলীতে বাড়িতে আগুন, ৪ লাখ টাকার ক্ষতি 
