প্রকাশ: বুধবার, ১২ মে, ২০২১, ১১:০৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সরকার যতই সচেতন হোক না কেন, আমাদের যে যার জায়গা থেকে যদি সচেতন না হই তাহলে কোন কিছুই করে লাভ নেই। আমরা একটি ঈদকে, একটি উৎসবকে আমরা ছাড় দিতে পারিনা। এগুলো আমাদের জীবনের চেয়ে বড় হয়ে দাড়ায়। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ সময় কিছু মানুষের ব্যক্তিগত সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণ এ মহামারি থেকে তার আশে পাশের অন্যান্য মানুষকে রক্ষা করতে পারে। আসুন, নিজে সচেতনতা বাড়িয়ে নিজেকে বাঁচাই এবং পরিবার তথা সমগ্র দেশটিকে এই কঠিন মহামারির কবল থেকে রক্ষা করি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৩৩৭তম পর্বে বুধবার (১২ মে) আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক, খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় বলেন, ঈদ উপলক্ষে লকডাউন উপেক্ষা করে বাড়ি যাওয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থায় রাজধানী ছাড়ছে প্রচুর মানুষ। ফেরিঘাটে বাড়িফেরা মানুষের ঢল দেখে মনে হচ্ছে যেন দেশে করোনা নেই! স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করার ফলে বাড়িফেরা মানুষগুলো একদিকে নিজেদের বিপদে ফেলছে অন্যদিকে আরও অনেকের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল গত বছরের মার্চে। এই এক বছরের কিছু বেশি সময়ে ভাইরাসটিতে প্রাণ গেছে সাড়ে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষের। ঈদের মতো সর্বজনীন উৎসবের আগে এ ধরনের সরকারি নির্দেশনা মানুষকে নিরস্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনের ঝুঁকি ও অর্থ ব্যয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ভোগান্তি। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ক্ষতিকর বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। রাজ্যে রাজ্যে চলছে মৃত্যুর মিছিল। অক্সিজেন সংকট পরিস্থিতি নাজুক করে তুলেছে। হাসপাতালে জায়গা নেই। স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকার হিমশিম খাচ্ছে। চিতার আগুন নিভছে না। ভারত বর্তমানে বিশ্বে করোনা সংক্রমণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছে। নেপালেও করোনার ঢেউ আছড়ে পড়ছে। বাংলাদেশেও করোনার ভারতীয় ধরনের রোগী শনাক্ত হওয়ায় উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা বাড়ছে। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ সময় কিছু মানুষের ব্যক্তিগত সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণ এ মহামারি থেকে তার আশে পাশের অন্যান্য মানুষকে রক্ষা করতে পারে। বিশ্বের সব দেশেই আজ নানা পরিকল্পনা করছে কিভাবে করোনাকে জয় কর যায়। তবে এজন্য সবার আগে দরকার নিজেদের সচেতন করা এবং সরকারের দেওয়া বিধি নিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলা। আসুন, নিজে বাঁচি এবং পরিবার তথা সমগ্র দেশটিকে এই কঠিন মহামারির কবল থেকে রক্ষা করি,এটাই প্রত্যাশা।
ভোরের পাতা/পি