আসল ধার্মিক মানুষরা সব সময় স্বাধীনতার পক্ষে থাকে: ড. মো. আফজাল হোসেন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১১:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আজকে হেফাজতের কর্মকাণ্ড আমাদের কাছে একটি বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । এর কারণ হলো হেফাজত যে কাজটি করেছে এবং করে যাচ্ছে ২০১৩ সাল থেকে। তারা বারংবার বলে যাচ্ছে তারা রাজনীতি করে না, রাজনৈতিক দল না তাদের সংগঠন। কিন্তু যতগুলো কর্মসূচি তারা দিয়েছে সবগুলো কর্মসূচি ছিল তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়বস্তু। আসলে স্বাধীনতা বিরোধী ও ধার্মিক মানুষ আসলে এক নয়, দুটি আলাদা বিষয়। যারা ধর্মকর্ম করে, ধর্ম প্রচার করে তারাই সত্যিকারের অর্থে ধার্মিক মানুষ। ধার্মিক মানুষরা কখনোই স্বাধীনতা বিরোধী হতে পারে না।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৩২৪তম পর্বে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- ইসলমী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা হাফিজুর রহমান আলম। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল দাস।
ড. মো. আফজাল হোসেন বলেন, আসলে স্বাধীনতা বিরোধী ও ধার্মিক মানুষ আসলে এক নয়, দুটি আলাদা বিষয়। যারা ধর্মকর্ম করে, ধর্ম প্রচার করে তারাই সত্যিকারের অর্থে ধার্মিক মানুষ। ধার্মিক মানুষরা কখনোই স্বাধীনতা বিরোধী হতে পারেনা। ধার্মিক মানুষরা সব সময় স্বাধীনতার পক্ষে থাকে। কিন্তু ধর্ম ব্যবসায়ী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপকৌশল করেছে। তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতা করেছেই বরং স্বাধীনতা যুদ্ধের পরও তাদের কার্যকলাপ থেমে থাকেনি। আস্তে আস্তে তারা সঙ্গবদ্ধ হতে থাকে। এবং সেই সঙ্গবদ্ধ হওয়ার পক্রিয়ার মধ্য দিয়েই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তারা এই কথা বুঝতে পেরেছিল যে, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এদেশের উন্নয়ন, এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। এদেশটিকে তারা যে নব্য পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল সেটা বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকা অবস্থায় কখনোই সম্ভব করতে পারতো না। সুতরাং তারা ভিন্ন রকম অপকৌশল গ্রহণ করে এই নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড ঘটায়। কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি, জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শ অনেক বেশী শক্তিশালী। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নিপীড়িত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনের লক্ষ্যে সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ আজ ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে এই উগ্রবাদীদের করালগ্রাসে। এই মাদরাসাগুলো এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিদের বড় আস্তানা। এই ধর্ম ব্যবসায়ীরা কোরআন হাদিসের কথা বলে নিজেরাই নাজায়েজ কাজে লিপ্ত আছে।