অবশেষে সচল করা হলো উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহি রেলওয়ে জংশন স্টেশন সান্তাহারের সিসি ক্যামেরাগুলো। সম্প্রতি “সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা নষ্ট” এমন শিরোনামে দেশের বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। এরপর সচল করা হয় স্টেশনের অচল হওয়া সিসি ক্যামেরাগুলো।
দেশের উত্তরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে জংশন স্টেশন বগুড়ার সান্তাহার জংশন রেলওয়ে স্টেশন। ১৮৮০ সালে এই স্টেশনটি স্থাপিত হলেও ১৯০০ সালের দিকে নির্মাণ করা হয় স্টেশনের সকল অবকাঠামো। এরপর থেকে সেবা দিয়ে আসছে স্টেশনটি। কিন্তু অন্যান্য স্থানের স্টেশনগুলোতে অবকাঠামোগত সব কিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও সান্তাহার স্টেশনের অবকাঠামোতে এখন পর্যন্ত কোন আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই স্পর্শ করেনি। এমনকি স্টেশনের কিছু জনগুরুত্বপূর্ন স্থানসহ পুরো স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়। স্টেশনের সব কিছু মাষ্টারের কক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করার নিমিত্তে পুরো স্টেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৯টি সিসি ক্যামেরা যুক্ত করা হয়। কিন্তু ১২টি ক্যামেরা সচল থাকলেও অবশিষ্ট ক্যামেরাগুলো অকেজো পড়ে ছিল। বিষয়টি স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীরা বেশ কিছু জাতীয় ও আঞ্চলিক গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর রেল কর্তৃপক্ষ ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ গ্রহন করেছে। বর্তমানে পুরো স্টেশানে ১৯টি ক্যামেরা সচল রয়েছে। ক্যামেরা সচল থাকায় যাত্রীদেরও এখন নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার হাবিবুর রহমান বলেন, স্টেশনে চরম জনবল সংকট রয়েছে। অচল সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি এরপর বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন এবং সবগুলো ক্যামেরা বর্তমান সচল রয়েছে। নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় স্টেশনের এই সিসি ক্যামেরাগুলো স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্ত করে রাখতে অনেক ভুমিকা রাখে। স্টেশনের কোথাও কোন জটিলতা কিংবা কোন সমস্যার সৃষ্টি হলে এই সিসি ক্যামেরায় দেখে তা দ্রুত সমাধান করা যাচ্ছে।