প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:৪০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
চাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে শান্তা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ এখন হাসপাতালের বিছানায় অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। শান্তা সদর উপজেলার শিলাউর গ্রামের রাসেল মিয়ার স্ত্রী।
এমন অমানবিক ঘটনাটি রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বিরাসার এলাকায় ঘটে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাচ্চা ছেলের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে অমানবিক শাস্তি পেতে হয়েছে মাকে। প্রথমে হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন, এরপর ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে করা হয় রক্তাক্ত জখম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক মাস আগে শান্তার ছোট ছেলের সঙ্গে তার আপন চাচা হুমায়ূন মিয়ার ঝগড়া হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। ওই ঘটনায় হুমায়ূনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শান্তার পরিবার।
মামলাটি তুলে নিতে চাপ দিয়ে আসছিলেন হুমায়ূন। এর জেরে রবিবার সন্ধ্যায় শান্তা ডাক্তার দেখানোর জন্য আত্মীয়ের বাসা থেকে জেলা শহরে আসার সময় বিসারাস এলাকায় তার পথরোধ করে হুমায়ূন ও তার সহযোগীরা।
পরে শান্তার হাত-পা বেঁধে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করা হয় শান্তাকে। এ সময় শান্তার চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ছুটে আসলে হুমায়ূন ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শান্তার মা রোকসানা বেগম জানান, মারামারির ঘটনায় মামলা তুলে নিয়ের জন্য হুমায়ূন চাপ দিচ্ছিল। এর জের ধরে রাস্তায় শান্তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করেছে।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আবদুর রহিম বলেন, ঘটনাটি শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।