ইমরান খানের আইনজীবী নাঈম হায়দার পাঞ্জোথার বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম ডন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে দেওয়া তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। ওই রায়ে গুরুতর ত্রুটি ছিল বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ।
গত বুধবার (২৩ আগস্ট) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়াল তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, দায়রা আদালত একদিনে রায় দিয়েছে, যেটা সঠিক ছিল না। তাই প্রথম দৃষ্টিতেই দায়রা আদালতের রায়ে ত্রুটি ধরা পড়েছে।
গত ৪ আগস্ট ইসলামাবাদ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইমরান খানের আপিলটি আমলে নেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক এবং বিচারপতি তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গিরির সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ বহুল প্রত্যাশিত এই রায় ঘোষণা করেন।
গত ৫ আগস্ট সরকারি কোষাগার তোশাখানার মালামাল নিয়ে দুর্নীতি করার অভিযোগে ইসলামাবাদের একটি জেলা ও দায়রা আদালত তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ রুপি জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। পরে ইমরান খান এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
দোষী সাব্যস্ত করা বিচারিক আদালতের বিচারকদের কাছে মামলাটি ফেরত পাঠানোর কারণে আইএইচসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি সর্বোচ্চ আদালতেও গেছেন।
ভোরের পাতা/ই