প্রকাশ: রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২, ৮:৩৪ পিএম আপডেট: ০৭.০৮.২০২২ ৯:৩৫ PM

মোংলায় একটি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। (৬ আগস্ট) শনিবার গভীর রাতে মোংলা উপজেলার চাদপাঁই ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনী পুলিশ। তাই এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে মোংরা থানা পুলিশ। গত শনিবার মন্দির মাঠে বল খেলা নিয়ে দুই পক্ষের দন্ধের কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আটক কিমোরদের জিজ্ঞাসাবদ করলেই মুল রহস্য উধঘাটন হবে ধারনা পুলিশের।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কাইনমারী এলাকার কাইনমারী মন্দির মাঠে ফুবল খেলাকে কেন্দ্র করে মন্দির সংশ্লিষ্ট লোকজনের সাথে খেলতে আসাদের মধ্যে বাকবিতান্ড হয়ে আসছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। এ প্রেক্ষিতে মন্দির কমিটির লোকজন মন্দিরের সামনের মাঠে ফুটবল খেলতে নিষেধ করে এলাকার কিশোরদের। শনিবার (৬ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে স্থানীয় ছেলেরা ওই মাঠে পুনরায় খেলতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয় মন্দির কমিটির লোকজন ও এ প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা। এনিয়ে সেখানে অনেক উচ্চবাক্য ও বাকবিতন্ড হয় উভয়ের মধ্যে। এ সময় একে অপরকে হুমকি-ধামকি দেয় বলে জানায় মন্দির সংলগ্ন স্থনীয় হিন্দু সম্প্রদয়ের নারী-পুরুষরা। হঠাৎ শনিবার গভীর রাতে ওই মন্দিরটিতে কালি ও গণেশ মূর্তি ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। মূলত বল খেলাকে কেন্দ্র করে নাকি কাউকে ফাঁসানোর জন্য অন্য কৌশল বা কোন কারণ আছে তা অনুসন্ধানে কাজ করছে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত হচ্ছে কানাইনগর এলাকার শহিদ চৌধুরীর ছেলে মোঃ রাহাত চৌধুরী (২০), মৃত হাবিব মুন্সির ছেলে মোঃ নয়ন মুন্সি (২৪) ও জাহাঙ্গীর আলম খান’র ছেলে মোঃ আসিফ খান (২২)।
মোংলা উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ’র সভাপতি পিযুষ মজুমদার বলেন, এ এলাকায় এমন ঘটনা এই প্রথম তবে ফুটবল খেলা নিয়ে দন্ধের কারণে কিংবা প্রতিহিংসা মুলক কর্মকান্ডের কারণে বা অন্য কারণেও এ প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্তা নেয়ার দাবী হিন্দ্র সম্প্রদয়ের এ নেতার।
মোংলা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আসিফ ইকবাল জানান, মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়টি এটা একটি অসম্প্রদাযীক ঘটনা। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার তিনিও পরিদর্শন করেছে। স্থানীয় লোকজনকে পৃথক পৃথক ভাবে জিজ্ঞাসাবদ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়ন করা হয়েছে। স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম সকলের মুখ থেকেই বল খেলার বিষয়টি উঠে আসছে তবে যে প্রতিমা ভাংচুরের কৌশলটা ভিন্নরকম মনে করছেন অনেকেই। এখানে দুইটি পক্ষ গ্রুপিং করে চলাচল করছে, হয়তোবা প্রতিপক্ষকে ফাসাঁতে কৌশলগত কারণও হতে পারে। আটক তিন কিশোরকে জিজ্ঞাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তাদের মুখ থেকে সঠিক তথ্য পেলেই বোঝা জাবে আসল ঘটনার সাথে কারা জড়িত।
দীর্ঘদিন থেকে মোংলা হিন্দ্র-মুসলিম একই এলাকায় বসবাস করলেও কখনও কারো ধর্ম নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়নী। তবে রোবারের অনাকাঙ্খীত এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানায় মন্দির সংলগ্ন ও আশ-পাশের এলাকাবাসী।