প্রকাশ: সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩৩ পিএম

আব্দুর রশিদ জিতু। ফাইল ছবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে জয়লাভ করে চমক দেখিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু। ছাত্রদল-শিবির সমর্থিত প্যানেলের বাঘা বাঘা প্রার্থীদের পেছনে ফেলে জিতুর এমন জয়ে শুরু হয়েছে নানামুখী আলোচনা। জাকসু নির্বাচনে যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ পদেই শিবির সমর্থিত প্যানেলের সদস্যরা নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে শীর্ষ পদে (ভিপি) জয়লাভ করে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন জিতু। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’র আহ্বায়ক এবং তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
জিতু জুলাই আন্দোলনের প্রথম থেকেই সোচ্চার ছিলেন। এমনকি গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যৌক্তিক সব ধরনের আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিলেন। মূলত জুলাই আন্দোলন থেকে তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে জাবি ক্যাম্পাসে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের আগে জিতু ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও আন্দোলনের শুরুতে সর্বপ্রথম ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়ে আহত হন। আন্দোলনের একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে ‘গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের সূচনা করেন। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন তিনি। জুলাই আন্দোলনে ছাত্রলীগ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে জিতু বলেন, জুলাইয়ের প্রথম থেকেই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। বিবেকবোধ থেকে দেশের স্বার্থে, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বিদ্রোহ করে জুলাই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিই। শিক্ষার্থীরা তার পাশে তখনো ছিল এবং এখনো আছেন। ছাত্রছাত্রীরা সব সময় তাকে ইতিবাচক হিসাবেই গ্রহণ করেছে। জাকসুর ফল ঘোষণার পর আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নবনির্বাচিত জিএস মাজহারুল স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী প্যানেলের ভিপি জিতুকে বুকে টেনে নেন। পরে নিজেদের মধ্যে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের আবেগঘন এ দৃশ্য দেখে করতালি দেন।
ভিপি যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে দলীয় লেজুড়বৃত্তিকেন্দ্রিক রাজনৈতিক চর্চার কারণে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক লাইফ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শতভাগ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে আমাদের যেভাবে কাজ করা দরকার, আমরা সেভাবেই কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ। নবনির্বাচিত ভিপি বলেন, আমাদের একটি যৌক্তিক চাওয়া ছিল, যৌক্তিক অধিকার ছিল তা থেকে আমরা বঞ্চিত ছিলাম। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে আমাদের সে অধিকারটি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা রাজপথে ছিলাম। এখন আমি মনে করি জাকসুর অফিশিয়াল ফল ঘোষণার মাধ্যমে আমরা আমাদের সেই অধিকার ফিরে পেয়েছি।