প্রকাশ: সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭:২৬ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বাইরে নির্ধারিত আটটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে।
এবারের ডাকসু নির্বাচনে ব্যালট হবে ৫ পৃষ্ঠার, আর হল সংসদে থাকবে এক পৃষ্ঠার ব্যালট। উভয় নির্বাচনে ব্যালট দিতে হবে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) শিটে। ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। অন্যদিকে ১৮টি হলে ২৩৪টি পদের বিপরীতে রয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। সব মিলিয়ে একজন ভোটারকে দিতে হবে ৪১টি ভোট।
বাউফলে ফসলি জমি থেকে হাঁস তাড়ানোয় স্কুল শিক্ষকে কুপিয়ে জখম বাউফলে ফসলি জমি থেকে হাঁস তাড়ানোয় স্কুল শিক্ষকে কুপিয়ে জখম
ভোট প্রদানের নিয়মকানুন ইতোমধ্যেই ভিডিওচিত্র আকারে প্রকাশ করেছে চিফ রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি নতুন ভোটারদের সচেতন করতে বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটে সভার আয়োজন করেছে প্রশাসন।
ভোটের দিনে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি কার্ড বা পে-ইন স্লিপ দিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন। অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে হল আইডি কার্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত পরিচয়পত্র। পরিচয় যাচাইয়ের পর ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর দিয়ে, আঙুলে অমোচনীয় কালি মেখে, ব্যালট নিয়ে প্রবেশ করবেন গোপন কক্ষে। সেখানে মোবাইল ফোন বা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নেওয়া যাবে না। পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশে ঘরে ক্রস চিহ্ন দিয়ে ব্যালট জমা দিতে হবে নির্ধারিত বাক্সে।
বাউফলে ফসলি জমি থেকে হাঁস তাড়ানোয় স্কুল শিক্ষকে কুপিয়ে জখম বাউফলে ফসলি জমি থেকে হাঁস তাড়ানোয় স্কুল শিক্ষকে কুপিয়ে জখম
ব্রেইল ব্যালটের ব্যবস্থা
প্রথমবারের মতো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হচ্ছে ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোটদানের সুযোগ। সাতটি হল থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীর তালিকা পেয়েছে নির্বাচন কমিশন, যারা এবার ব্রেইল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।
ব্রেইল ব্যালট হবে একটি পাতলা বুকলেটের মতো, যেখানে ডাকসুর জন্য থাকবে ৩০ পৃষ্ঠা এবং সূচিপত্র। এতে প্রতিটি পদের অবস্থান সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। হল সংসদের জন্য থাকবে তিন থেকে চার পৃষ্ঠার ব্রেইল ব্যালট।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কিন্তু ব্রেইল পড়তে অক্ষম শিক্ষার্থীরা আগের নিয়মে অন্যের সহযোগিতা নিয়ে ভোট দিতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর জানান, ‘যাঁরা ব্রেইল পড়তে পারেন, তাঁরা এভাবে ভোট দেবেন। আর যাঁরা পারেন না, তাঁরা পোলিং অফিসারের সহায়তায় ভোট দিতে পারবেন।’