প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ১:০০ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্যনীতি ভারত ও চীনের মধ্যে এক ধরনের কৌশলগত ঘনিষ্ঠতা তৈরি করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ট্রাম্প সম্প্রতি ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যে প্রথমে ২৫ শতাংশ এবং পরে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। এতে দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন অর্থনৈতিক স্বার্থ তৈরি হচ্ছে। খবর সিএনএনের।
ভারত-চীনের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বিরোধ ও ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে তিক্ত। তবে ট্রাম্পের আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ দুই দেশকে নতুন কৌশলগত বাস্তবতায় ঠেলে দিয়েছে। এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারওয়া আমের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নীতির মুখে আমরা ভারত-চীন সম্পর্কের আরও ঘনিষ্ঠতা দেখতে পাব।’
এই প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন চীন সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সাত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বেইজিং যাচ্ছেন মোদি। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সফরকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, তারা আশা করছে সম্মেলন হবে ফলপ্রসূ।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘনিষ্ঠতা পারস্পরিক বিশ্বাস বা বন্ধুত্বের ফল নয়, বরং হোয়াইট হাউসের এক অভিন্ন প্রতিপক্ষের কারণে। ভারত ও চীনের মধ্যে গভীর কৌশলগত অবিশ্বাস এখনো বহাল আছে। ফারওয়া আমের সতর্ক করে বলেন, ‘ভারতের উচিত নয় ওয়াশিংটনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক উপেক্ষা করে কোনো ঝুঁকি নেওয়া।’