
ফ্যাসিবাদী দল পলাতক আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতের নীতিনির্ধারকরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর তারা তারেক রহমানকে টার্গেট করেছে। আসলে ভারত শেখ হাসিনার পতনকে সহ্য করতে পারছে না।
শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে পাবনার চাটমোহর পৌর শহরের আফ্রাতপাড়া মহল্লার প্রবীণ বিএনপি নেতা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবু তাহের ওরফে তাহের ঠাকুরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আবু তাহেরের হাতে চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান তুলে দেন রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। পার্শ্ববর্তী দেশ যখনই দেখেছে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক হয়েছে তখন তারেক রহমানের নামে অসংখ্য কুৎসা ও অপপ্রচার সেখান থেকে চালু হচ্ছে। আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসনের জন্য আজকে ভারতের নীতিনির্ধারকরা নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক দলটি ১৬ বছর মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে, জনগণের টাকা লুট করেছে। লুটের সেই টাকা পাচার করেছে। যাদের বাড়িঘর এখন দুবাই, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছে। যারা বেশি দূর যেতে পারেননি তারা পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
তাই জুলাই আন্দোলনের যিনি প্রধান পৃষ্ঠপোষক, যিনি পুরো জাতিকে সংগঠিত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে তারা টার্গেট করেছে। ১৬ বছর ধরে তাকে টার্গেট করে রেখেছিল। বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাদের যারা মেন্টর, তাদের যারা গুরু এখন তাদেরকে দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। পৃথিবীর যত বড় শক্তিরধর দেশ হোক। তারা যদি মনে করে এদের আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখবো, বশে রাখবো। এদেরকে আমরা দমিয়ে রাখবো, বাংলাদেশের মানুষ কোনো দিনই সহ্য করেনি, এখনো সহ্য করবে না। এ দেশের মানুষ নির্ধারণ করবে তাদের শাসক কে হবে, বলেন তিনি।
নির্বাচনের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূস সাহেবের বৈঠক হয়েছে। আমরা আশা করছি অবশ্যই একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেটা যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই।