প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ৫:১১ পিএম

গত ১২ জুন আহমেদাবাদে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। এ ঘটনার পর একই বিমানের বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল হয় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে। আর এই অবস্থায় ৩টি রুট স্থগিত ও ১৮টি রুটে ফ্লাইট সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়া।
বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়া তাদের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যা সাময়িকভাবে কমানোর কথা জানিয়েছে।
টাটা গ্রুপ জানিয়েছে, তারা বোয়িং ৭৮৭ এবং বোয়িং ৭৭৭ এর মতো দূরপাল্লার বিমান দ্বারা পরিচালিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কমপক্ষে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১৫ শতাংশ কমিয়ে দেবে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমান মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়। যার ফলে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি পশ্চিম এশিয়ায় আকাশসীমা বিধিনিষেধ এবং বিভিন্ন ইউরোপীয় ও পূর্ব এশিয়ার বিমানবন্দরে অবতরণে নিষেধাজ্ঞা আসে। আর এই অবস্থায় গত কদিন ধরেই এয়ার ইন্ডিয়ার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো বিলম্ব ও বাতিলের শিকার হচ্ছিল।
যে কারণে শেষমেশ তিনটি রুট স্থগিত ও ১৮টি রুটে ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া ১৮টি রুটের মধ্যে পাঁচটি উত্তর আমেরিকা, নয়টি ইউরোপ এবং দুটি করে অস্ট্রেলিয়া এবং পূর্ব এশিয়ায়। আর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ২১ জুন থেকে। যা কমপক্ষে ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
যে তিনটি রুটে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো হলো-দিল্লি-নাইরোবি, আমৃতসর-লন্ডন (গ্যাটউইক) ও গোয়া (মোপা)-লন্ডন (গ্যাটউইক)।
এদিকে ফ্লাইট সংখ্যা কমানোর কারণ হিসেবে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে আকাশসীমা বন্ধ থাকার ফলে উদ্ভূত অতিরিক্ত ফ্লাইট সময়কাল বেড়েছে। তাছাড়া বিমান চলাচলের পূর্বে বাড়তি নিরাপত্তা পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে ফ্লাইট সংখ্যা কমাতে হয়েছে। এর উদ্দেশ্য সময়সূচীর স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা এবং যাত্রীদের শেষ মুহূর্তের অসুবিধা কমানো।
উল্লেখ্য, ১২ জুন আহমাদেবাদে বিমান দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জন নিহত হন। একমাত্র বেঁচে যাওয়া যাত্রী ছিলেন ১১ এ সিটে থাকা এক ব্রিটিশ-ভারতীয় নাগরিক। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৩৩ জন প্রাণ হারান, যা এটিকে ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় পরিণত করেছে।