প্রকাশ: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৩:৫০ পিএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই সরকারের মধ্যে অনেক উপদেষ্টা আছেন যারা প্রচণ্ডভাবে বিএনপি বিদ্বেষী। তাছাড়া যেকোনো ইস্যুতে ধর্ম ও শহীদদের টেনে এনে দুয়েকটি রাজনৈতিক দল সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে বলেও মনে করেন তিনি। একটি সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই তারা শহীদদের রক্ত ও ধর্মকে টেনে নিয়ে আসে বলে মত রিজভীর।
রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এই দুয়েকটি রাজনৈতিক দলের কথা শুনে পেন্ডুলামের মতো দুলছে। পরিকল্পিত এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ এটি।
আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা জানান রুহুল কবির রিজভী।
ডিসেম্বর নির্বাচনের উপযুক্ত সময় বলে মন্তব্য করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘কোনো একটি রাজনৈতিক দলের নেতা বলছেন শহীদদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ করা যাবে না। তারা একাত্তরের শহীদদের কথা কি ভুলে গেছেন, ৮৬ সালের নির্বাচনের কথা কি ভুলে গেছেন। আসলে তারা ধর্মকে পুঁজি করে ব্যবসা করতে চান।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রিজভী বলেন, ‘এপ্রিল মাসে তো প্রচণ্ড খরতাপ থাকে, ঝড় বৃষ্টি হয়, এসএসসি পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা থাকে, মাদ্রাসার পরীক্ষা থাকে। সে সময় কেবল রোজার ঈদ শেষ হবে। এপ্রিলে নির্বাচন হলে রমজানে প্রচারণা চালাতে হবে। রোজা রেখে প্রচারণা চালাবে কিভাবে। মানুষ রোজা রাখবে না নির্বাচনের প্রচারণা করবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের আবেগকে ধারণ করলে সরকার বিতর্কিত হবে না। তবে, বিশেষ কোনো দলকে সুবিধা দিতে গেলে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হবে। বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লেও, উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না অন্তর্বর্তী সরকার।’ কোরবানি পশুর চামড়ার ন্যায্য দাম থেকে চামড়া বিক্রেতারা বঞ্চিত হয়েছে বলেও জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
রিজভী প্রশ্ন করেন, সাধারণ মানুষ স্বাচ্ছন্দে ঈদ করতে পেরেছে কি না? চাঁদাবাজ-দখলদারদের কেনো ধরা হচ্ছে না? তিনি বলেন, সব অন্যায়ের বিপক্ষে বিএনপির অবস্থান।