
বিভিন্ন ইস্যুতে বরাবরই সরব থাকেন অভিনয়শিল্পী আজমেরী হক বাঁধন। এবার তিনি অভিযোগ জানালেন, শনিবার থেকে একটি পক্ষ তাকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র”-এর এজেন্ট বলে আখ্যা দিয়েছে। এ বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করে এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
রবিবার (২৫ মে) নিজের ভেরিফায়েড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই সংক্রান্ত এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বাঁধন সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘ভারত বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের কথা বলছে। বিএনপিও চাইছে দ্রুততম সময়ে যেন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে আমি যখন নির্বাচন নিয়ে পোস্ট দিলাম, তিনটি বিষয় একই সূত্রে মিলিয়ে আমাকে ‘র’-এর এজেন্ট বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভারত, বিএনপিও দ্রুত নির্বাচন চাইছে, আমি বললেই র-এজেন্ট। অথচ বিষয়টা মোটেও এ রকম কিছু নয়। এটা নাগরিক হিসেবে আমার চাওয়া।’’
এদিকে কিছুদিন আগে দ্রুততম সময়ে জাতীয় নির্বাচন চেয়ে ফেসবুক পোস্ট দেন তিনি। তার এই পোস্টটিকে ঘিরে একটি পক্ষ তাকে “র”-এর এজেন্ট বলে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নির্বাচন নিয়ে বাঁধনের দেওয়া পোস্টটি হলো, “দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি চাই, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন যেন দ্রুত সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। আমি সেই দলকে ভোট দিব, যারা উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে সমঅধিকার নিশ্চিত করবে। এখন সময় এসেছে আরও ন্যায়সঙ্গত, সাম্যবাদী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি সমাজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার- যেখানে ন্যায্যতা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হবে এবং দেশটি সব নাগরিকের জন্য সেরা একটি দেশ হয়ে ওঠবে।’’
সংবাদমাধ্যমকে বাঁধন আরও বলেন, ‘‘প্রথম আমি র-এর এজেন্ট হয়েছিলাম ‘খুফিয়া’ সিনেমার সময়। এরপর সিআইএ এজেন্ট হলাম। তারপর আমার এক বন্ধু বলল, আমি নাকি মোসাদের এজেন্ট! এখন সবকিছু শেষ, কিছুতেই কিছু যখন করতে পারছে না, তখন আমি নির্বাচন চাইলাম বলে, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের কথা বলছি বলে এবং উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে সমঅধিকার চাইছি বলে, আবার আমি র-এর এজেন্ট। আমার ভোট চাওয়ায় নাকি বিএনপিকে সমর্থন করছি। পুরো ব্যাপারটা আমার কাছে অদ্ভুত ঠেকেছে।’’
এদিকে আজ রবিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বাঁধন লিখেছেন, “২০২১ সালে যখন বলিউডের একটি সিনেমা ‘খুফিয়া’তে কাজ করলাম, তখন আমি ছিলাম একজন গর্বিত ‘র’ এজেন্ট। সিনেমায় সহ-অভিনেতা হিসেবে ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী টাবু। কিন্তু এরপরই ঘটনায় মোড় নেয়, যখন আমাকে সিনেমার প্রিমিয়ারে যেতেও বাধা দেওয়া হলো।’’
ভিসা বাতিল প্রসঙ্গে তিনি আরও লিখেছেন, “আমার ভিসা একবার-দুইবার নয়, পাঁচবার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রত্যাখান করা হয়। কারণ হিসেবে তারা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে একটি ছবি দেখায় এবং এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করে। এরপর আমি দেশের প্রভাবশালী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলি, যারা আমার বন্ধু, তারা পুরো বিষয়টি শোনার পর এক মাসের সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা পাই।’’
পোস্টের শেষে বাঁধন আরও লিখেছেন, ‘‘কী অদ্ভুত এক সমাজে বাস করছি আমরা। যখন কেউ নিজের দেশকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে না, তখন ধরে নেয়- আর কেউও হয়তো ভালোবাসে না।”
তবে এই পোস্ট কেবলই ভাবনার খোরাক দেওয়ার জন্য বলেও পোস্টের শেষে উল্লেখ করেন এই অভিনেত্রী।