
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ মোস্তফা জামান। তিনি ঢাকা-১৮ আসনের কৃতী সন্তান। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘ সময় আপসহীনভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপস করতে দেখা যায়নি। এলাকায় তার অনেক সুনাম আছে। আগামী নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনের কান্ডারী হিসেবে তিনি ইতিমধ্যে সবার নজরে এসেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার ভাবনা, আগামীর নানা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি তার দলীয় পদ নিয়ে বলেন, ‘পদ, ক্ষমতা বা সম্মান যাই বলি না কেন, এগুলো সবকিছু আল্লাহর দান।
আল্লাহর পক্ষ থেকে এসব কিছু আসে। আর সেই পদ বা ক্ষমতা আমাদের কাছে আমানতস্বরূপ আসে, আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।’
আপনি যে সাংগঠনিক দায়িত্ব পেয়েছেন এতে আপনার মধ্যে কোনো অহংকার আমরা দেখি না। এমন প্রশ্নের উত্তরে মোস্তফা জামান বলেন, ‘আমি জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী। আমাদের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের মানুষের জন্য বিগত স্বৈরশাসকের আমলে জেল জুলুম সহ্য করেছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশের বাইরে রেখেছে। আমাদেরও জেল জুলুম সহ্য করতে হয়েছে। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে মাটিতে তার পা পড়ত কি না সন্দেহ। এটা আমার বংশীয় আচার-আচরণ। দোয়া করবেন এভাবে যেন মানুষের মাঝে থাকতে পারি।’
আপনি ক্লিন ইমেজের একজন মানুষ। এটা কি ধরে রাখতে পারবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এজন্য দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চাই। আমি যদি ভুল করি তাহলে আমাকে সে ভুলটি ধরিয়ে দিলে খুশি হব। আমি সবার ভালোবাসা চাই।’
আপনি বিএনপির আদর্শের আদর্শিত, সেখানে আপনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে কী করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মোস্তফা জামান বলেন, ‘পারিবারিকভাবে যে শিক্ষা পেয়েছি তাতে অন্যায়ের সঙ্গে আপসের প্রশ্নই আসে না। কোনো হারাম খাবার যেন আমার ও আমার পরিবারের পেটে না যায়। ভবিষ্যতে অন্যায়ের সঙ্গে কোনো আপস করব না।’
কিশোর গ্যাং, মাদক, সন্ত্রাস এগুলো কীভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে মোস্তফা জামান বলেন, ‘কিশোর গ্যাং, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমি বরাবরই জিরো টলারেন্স। ঢাকা-১৮ আসনে কোনো চাঁদাবাজ সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাংকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে যারা এ ধরনের কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাই ঢাকা-১৮ আসনকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে আমি সবসময় কাজ করে যাব।’
আপনার এলাকায় অবহেলিত রাস্তাঘাটের কারণে জনজীবনে দুঃখ-দুর্দশা লেগেই আছে এগুলো কীভাবে দেখবেন? জবাবে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘ঢাকা-১৮ আসনে সবচেয়ে অবহেলিত রাস্তাঘাট হচ্ছে উত্তরখান ও দক্ষিণখানের। আমার প্রথম কাজই হবে এ দুঃখ মোচন করা। সেখানে মানুষের কষ্ট দেখে আমার নিজেরও খারাপ লাগে। বিভিন্ন প্রোগ্রামে গেলে এখনো হেঁটে যেতে হয়। বর্ষাকালে মানুষ হাঁটতে পারে না। তাই আমি এ দুটি জায়গাসহ ঢাকা-১৮ আসনের সব রাস্তাঘাটের দায়িত্ব নেব।’
তরুণদের সম্পর্কে মোস্তফা জামান বলেন, ‘তরুণরা আমাদের মূল চালিকাশক্তি। তাই তাদের আমাদের নার্সিং করতে হবে। আমাদের সব কার্যক্রমে তরুণদের পাশে রাখতে হবে। মেধার ভিত্তিতে তাদের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে।’
বয়স্ক ও বিধবা ভাতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বয়স্ক ও বিধবাদের জন্য কাজ করতে চাই। সরকারের পাশাপাশি প্রয়োজনে আমি নিজে একটি বাসস্থান নির্মাণ করে সেখানে বয়স্ক ও বিধবাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করব।’